ঘন কুয়াশা আর মধ্যরাতে অসময়ের ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে দিনাজপুরের আলু চাষিরা। লেট ব্রাইট রোগে নষ্ট হতে বসেছে আলুর ক্ষেত। লোকসান কাটিয়ে উঠতে অনেক চাষিই অপরিপক্ক আলু তুলে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
তাদের অভিযোগ, কৃষি কর্মকর্তারা সঠিক সময়ে পরামর্শ না দেয়াতে এমন অবস্থা। কৃষি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সেভাবে পরামর্শ না পেয়ে কৃষকদের অনেকে নির্ভর করছে কীটনাশক দোকানদারদের উপরে। স্প্রে করেও প্রতিকার না পেয়ে দিশেহারা কৃষক। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, পরামর্শ নিয়ে কাজ করলে কৃষকরা লেট ব্রাইট রোগ প্রতিরোধে ভাল ভূমিকা রাখতে পারবেন।
আলু চাষি চিরিরবন্দরের ফজলুর রহমান মাস্টার বলেন, লাভের আশায় আলু ও টমেটো রোপণ করেছি। গাছও ভালো হয়েছে। কিন্তু গত কয়েকদিন শীতের প্রকোপ ও কুয়াশার কারণে ক্ষেত নিয়ে চিন্তিত।
শষ্য ভাণ্ডারখ্যাত দিনাজপুরে এবারে ৪৩ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। এই জেলায় উৎপাদিত আলু দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। তবে এ মৌসুমে কয়েক দফায় শৈত্যপ্রবাহ ছাড়াও প্রচণ্ড শীত আর ঘন কুয়াশায় আলুর ক্ষেতে দেখা দিয়েছে লেট ব্রাইট রোগ। এই রোগের আক্রমণে শুকিয়ে যাচ্ছে আলুর পাতা, তারপরে মরে যাচ্ছে গাছ। আবার ক্ষেতে কীটনাশক স্প্রে করেও লেট-ব্রাইট রোগ থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। একই অবস্থা টমেটো চাষেও। এ নিয়ে চিন্তায় পড়েছে চাষিরা।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ তৌহিদুল ইকবাল সাংবাদিকদের জানান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের কাছে থেকে পরামর্শ নিয়ে কাজ করলে কৃষকরা লেট ব্রাইট রোগ প্রতিরোধে ভাল ভূমিকা রাখতে পারবেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক