যশোর জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক ও একাধিক মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানার আসামি জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে ‘টাক মিলনকে’ আদালতের মাধ্যমে জেলাহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় দুবাই থেকে ফেরার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ মিলনকে আটক করে যশোর ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর একটি হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ মিলনকে যশোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে। আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম আগামী ১৯ জানুয়ারি রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন এবং মিলনকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
যশোর পুলিশের মুখপাত্র মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, জাহিদ হোসেন মিলনের বিরুদ্ধে আদালতের তিনটি গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। এছাড়া তার নানা অপরাধের তথ্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে ছিল। ক্যাসিনো ও জুয়াবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে মিলন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে দুবাই চলে যান এবং মাঝে মাঝে দেশে আসেন-এমন তথ্যও ছিল পুলিশের কাছে। সে কারণে পুলিশের পক্ষ থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে রাখা হয়। রবিবার সন্ধ্যায় দুবাই থেকে ফেরার পরপরই ইমিগ্রেশন পুলিশ মিলনকে গ্রেফতার করে যশোর পুলিশকে অবহিত করে।
যশোর পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, যশোর শহরের পুরাতন কসবার রোস্তম আলীর ছেলে জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলনের নামে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে তিনটি মামলায় আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব