ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের গোয়ালনগর ইউনিয়নের খাগালিয়া গ্রাম। এ গ্রামে প্রায় ১২ হাজার মানুষের বসবাস। এখানে রয়েছে ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি মাদ্রাসা, একটি মসজিদসহ অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। গ্রামের দক্ষিণ পাশে রয়েছে নতুন বাজার। তার দু’পাশে খাল। যেখানে বছরের ৭ মাস যাতায়তের মাধ্যম একমাত্র অবলম্বন নৌকা।
খাল পারাপারের জন্য ১৯৮৬ সালে এরশাদ সরকারের আমলে খালের উপর একটি সেতু নির্মাণের নির্দেশনা জারি হয়। তখন এটি ওবায়েদুল্লাহ সড়ক হিসেবে পরিচিত ছিল। সরকার বদলের পর এটির নামকরণ করা হয় জিল্লুর রহমান সড়ক। তবে নাম করণেই সীমাবদ্ধ থাকে এ এলাকার মানুষের ভাগ্য।
সেতুটির নির্মাণ কাজ করা তৎকালীন ঠিকাদার সামছুল আলম জানান, ১৯৮৬ সালে সেতুটির কাজ পাই। তখন মোট বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৫ হাজার টাকা। আর বাকী কাজের দায়িত্ব ছিল নাসিরনগর উপজেলা সদর ইউনিয়নের দাঁতমন্ডল গ্রামের মোঃ হাবিব মিয়ার। আমি দায়িত্ব পেয়েছিলাম সেতুর মূল বীম ও পিলার নির্মাণের।
সরজমিনে গেলে খাগালিয়া গ্রামের বৃদ্ধ তারু মিয়া (৮৫) বলেন, ব্রীজডা বানানোর পর আমরা ৫ বছর চলতাম পারছি। এর কিছুদিন পরই দেশে একটা বড় বন্যা হয়। সেই বন্যার পানি ব্রীজডার সবকিছু ভেঙে নিয়ে যায়। বন্যার পানিতে ব্রীজের দুই পাড়ের মাটিও ভেসে গেছে।
এই গ্রামের অপর বৃদ্ধ মহরম আলী (৭৮) জানান, এই রাস্তা দিয়া অষ্টগ্রাম, নাসিরনগর ও সরাইল উপজেলার মানুষ চলাফেরা করে। কত নেতা আসে আর যায়, কিন্তু আমাদের রাস্তাও হয়না, সেতুও হয়না।
নাসিরনগর উপজেলা প্রকৌশল অফিসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী জানায়, অফিসে ১৫-২০ বছরের তথ্য পাওয়া যাবে। ৩০-৩৫ বছর পূর্বের কোন তথ্য আমরা সংরক্ষণ করিনি। নাসিরনগর উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মাসুদ রানা জানান, রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। ব্রীজও হয়ে যাবে।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ