২১ জানুয়ারি, ২০২০ ২১:৩৭

বাঁশের উপর ভর করে দাঁড়িয়ে থাকা ব্রিজ নিয়ে আতঙ্ক!

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

বাঁশের উপর ভর করে দাঁড়িয়ে থাকা ব্রিজ নিয়ে আতঙ্ক!

নিচে বাঁশের ঠিকা। সবশেষ ছাদও ভেঙে পড়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-নবীনগর সড়কের একটি ব্রিজের এমন দুর্দশার কারণে সড়কটি দিয়ে মঙ্গলবার দিনভর সরাসরি যান চলাচল বন্ধ থাকে। 

ভাঙা অংশ ভরাট করতে দিনশেষে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) একটি ট্রাকে করে ষ্টিলের প্লেট পাঠায় সেখানে। এরআগে গত দু-দিন ধরে ব্রিজের ভাঙা অংশের একপাশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে সিএনজি অটোরিকসা পার হয়েছে যাত্রী নামিয়ে।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার গাছতলায় বদগনী খালের ওপর এই ব্রিজটি নির্মিত হয়েছে প্রায় ৩০/৩৫ বছর আগে। তখন মূলত খাল পাড়ি দিতেই এই ব্রিজটি কাজে লাগতো এলাকার মানুষের। কয়েক বছর আগে জেলা সদরের সাথে নবীনগর উপজেলার সড়ক যোগাযোগ চালু হওয়ার পর সিএনজি চালিত অটোরিকসা, ব্যাটারি চালিত অটো, মাইক্রো, মিনি ট্রাক চলাচল শুরু হয় এপথে। সময় গড়ানোর সাথে নানা যানবাহনের চাপ বাড়ে সড়কে।

এরমধ্যে মালবোঝাই বড় ট্রাক, ইট-বালু বোঝাই ট্রাকটরও চলতে শুরু করে। কিন্তু কয়েক টন ওজন নেয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন এই ব্রিজ অল্প ক’দিনেই নড়বড়ে হয়ে পড়ে। ৪৭ মিটার দীর্ঘ এই ব্রিজ বর্তমান সড়কের সঙ্গেও বেমানান। সরু হওয়ায় যানবাহন একমুখী চলাচল করতে পারে শুধু। 

গাছতলা গ্রামের সাদেক মিয়া জানান, প্রতি রাতে বড় ট্রাক চলে এই ব্রিজের ওপর দিয়ে। ১০/১৫টি ট্রাক বালু, পাথর এসব মাল নিয়ে ব্রিজ পার হয়। সে কারণেই এটি ভাইঙ্গা পড়ছে। 

নাটাই দক্ষিন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হোসেন মিয়া জানান, ব্রিজটিতে ৪ দিন আগেই ভাঙন দেখা দেয়। পরে ভাঙন বড় হয়। ব্রিজটির অবস্থা ভালো না, সেটি তারা একবছর আগে স্থানীয় সংসদ সদস্যের দৃষ্টিতে আনেন বলেও জানান তিনি। 

এলজিইডি’র ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম বলেন, আমরা এখন ষ্টিলের প্লেইট বসিয়ে যান চলাচলের ব্যবস্থা করছি। ব্রিজটি রিপ্লেসমেন্ট করার জন্য আমরা অনেক দিন ধরেই লিখছি। এটি উপজেলা রোড। আমাদের ব্রিজ রিপ্লেসমেন্ট একটি প্রকল্প রয়েছে। এই প্রকল্প ছাড়াও অন্য প্রকল্প থেকেও আমরা ব্রিজটি করার চেষ্টা করছি। আশা করছি ২/৩ মাসের মাধ্যমে কোন প্রকল্প থেকে ব্রিজটির কাজ শুরু করতে পারবো। 

তিনি জানান, গত মাস দুয়েক আগে একবার ভাঙছে, এখন আবার ভাঙছে। আসলে আমাদের রাস্তায়তো ৮/৯ টনের বেশি ওজনের যানবাহন চলার কথা নয়। 


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর