করোনা ভাইরাস-এর কারণে দিনাজপুরের বিরল স্থলবন্দর দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রী পারাপারে চেকআপে থার্মাল ইন্ডিকেটরই একমাত্র ভরসা।
এরপরেও বাংলাদেশে প্রবেশের পর পার্সপোর্টে আসা মানুষের চেকআপ করা হলেও ওপারে ভারতের অংশে কোনোরূপ চেকআপ করা হয় না বলে পাসপোর্ট যাত্রীরা জানায়।
দিনাজপুর শহরের পাহাড়পুরের পাসপোর্ট যাত্রী জাহাঙ্গীর আলম ভারতে চিকিৎসার জন্য গিয়ে ফিরে আসেন রবিবার দুপুরে। তিনি জানান, ভারতের চেকপোস্টে করোনা ভাইরাসের কারণে পাসপোর্ট যাত্রীর কোনো চেকআপ এর ব্যবস্থা নেই।
বিরল স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট এলাকায় কাজ করছে ২ সদস্যের মেডিকেল টিম। বিরল চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন গড়ে শতাধিক যাত্রী পারাপার হয়।
বিরল চেকপোস্টের মেডিকেল টিমের স্বাস্থ্য পরিদর্শক নিরঞ্জন সিংহ জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা আসার পর গত ২৯ জানুয়ারি থেকে এই বিরল চেকপোস্টে কাজ শুরু করেছি। থার্মাল ইন্ডিকেটর দিয়ে জ্বর আছে কিনা চেকআপ করা হয়। এরপর আমরা জেনে নেয় তার শ্বাসতন্ত্র রোগ, জ্বর, এরসঙ্গে সর্দি, কাশি, গলাব্যথা আছে কিনা। সবার নাম খাতায় লিপিবদ্ধ করা হয়।
বিরল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের এসআই সাইফুল ইসলাম জানান, চীনা কোনো নাগরিক বিরল চেকপোস্ট দিয়ে যাতায়াত করেনি, তবে সতর্ক রয়েছেন ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।
দিনাজপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবদুল কুদ্দুছ জানান, ভারত থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে করোনো ভাইরাস সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য অনুসন্ধানের পাশাপাশি স্বাস্থ্য বার্তা পৌঁছানো হচ্ছে এবং জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চলছে। এই ভাইরাসের আক্রমণ, সংক্রমণ এবং শনাক্তকরণের কোনো তথ্য পেলেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম