নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তারাব পৌরসভা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল আওয়ালের রাখা সয়াবিনের গরম বর্জ্যে পড়ে গিয়ে দগ্ধ আশরাফুল মিয়া (১৩) নামে এক অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।
এর আগে, গত ৬ ফেব্রয়ারী উপজেলার রূপসী এলাকার রাস্তার পাশে রাখা সয়াবিনের গরম বর্জ্যে পড়ে গিয়ে দগ্ধ হন আশরাফুল মিয়া। আশরাফুল মিয়া উপজেলার রূপসী এলাকার খন্দকার বাবুল মিয়ার ছেলে। আশরাফুল জিনিয়াস একাডেমীর অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয়রা জানান, তারাবো পৌর যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল আওয়াল, কাজীরপাড়া এলাকার জাফর কাজী, সাজ্জাত, নোয়াপাড়া এলাকা শাহজাহান ও রাজীব মিলে রূপচাঁদা এডিবয়েল মিল থেকে গরম সয়াবিনের বর্জ্য কিনে বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করেন। ইটভাটায় বিক্রির জন্য এ সয়াবিনের বর্জ্যগুলো কোন প্রকাশ বেষ্টনী ছাড়াই রূপসী খন্দকার বাড়ি এলাকায় রাস্তার পাশে এনে রাখেন।
নিহতের বাবা বাবুল মিয়া জানান, গত ৬ ফেব্রুয়ারী রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আশরাফুল ইসলাম গরম সয়াবিনের বর্জ্যে পড়ে যায়। আশরাফুলের ডাক-চিৎকারে বন্ধু নাজিম মিয়া (১৩) বাচাঁতে গেলে সেও বর্জ্যে পড়ে দগ্ধ হন। পরে পরিবারের লোকজন আশরাফুল ইসলাম ও নাজিম মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সোমবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশরাফুল মিয়ার মৃত্যু হয়।
এর আগে, গত ৩ ফেব্রয়ারী প্রদীপ নামে এক শ্রমিক কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে সয়াবিনের গরম বর্জ্যে পড়ে গিয়ে দগ্ধ হয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। গত ২ ফেব্রুয়ারী রুমি আক্তার নামে এক তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীও এ বর্জ্যে পড়ে দগ্ধ হন। রুমি আক্তার বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা মামলা করতে রাজী হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল