জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের নামে কটুক্তি করাকে কেন্দ্র করে যুবলীগের দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। সোমবার রাতে মেহেরপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সরফরাজ হোসেন মৃদুলের সভাপতিত্বে প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। আপরদিকে, এই প্রতিবাদ সমাবেশের প্রতিবাদে আজ দুপুরে মেহেরপুর যুবলীগের আহবায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন জেলাপরিষদ চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, গতকাল একটা প্রোগ্রাম হয়েছে। সেখানে যুবলীগের ব্যানার ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু যুবলীগের গঠনতন্ত্রে অনুযায়ী আহবায়কের অনুমতি ছাড়া কোন প্রোগ্রাম করতে পারে না। আমি মনে করি কালকে যারা প্রোগ্রাম করেছে তারা যুবলীগের কেউ নয়। সেই জন্য আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
মুজিবনগর উপজেলার সাবেক যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান চাদু পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিল। তখন থেকে সে বহিষ্কৃত নেতা। আনু বিল্লাহসহ আরও অনেকে আছে তারা যুবলীগ থেকে বিতাড়িত হয়েছে তাদের নিজেদের কুকর্মের জন্য, তারা কোন চরিত্রের লোক, কারা ঔ প্রোগ্রামে ছিল, কারা মাদককে নিমূল করার কথা বলে মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ে প্রোগ্রাম করেছে। যুবলীগ যারা করে তাদের মাথা হেট হয়ে গিয়েছে।
মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম রসুল বলেন, গত ৫ তারিখের মুজিববর্ষের বর্ধিত সভায় যারা এসেছিলেন তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধোকাবাজ, ভন্ড, নব আওয়ামী লীগরা ভয় দেখাছে, বলছে তোমাদের তালিকা করার হচ্ছে। আমি সে সব ভন্ডদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই আবার যদি আমার কর্মীদের বাড়ি যাওয়া হয় তাহলে তাদের হাত কেটে নেওয়া হবে। আমি তাদের সাবধান করে দিচ্ছি। আমার ত্যাগী নেতারা যেন নির্যাতিত না হয়। আমরা ৭ মার্চ ড. শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কে মিটিং করবো। সেই মিটিংয়ে আমরা দুর্নীতিবাজদের জবাব দেবো। মুজিববর্ষে দুর্নীতির ঠাই হবে না।
অপরদিকে সোমবার সন্ধ্যায় মেহেরপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সরফরাজ হোসেন মৃদুলের নেতৃত্বে মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সরফরাজ হোসেন মৃদুল বলেন, গত ৫ তারিখে শহর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার নামে যে রঙ্গলীলার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে মুজিববর্ষ পালনের কথা না বলে মেহেরপুরের নেতা মরহুম ছহিউদ্দীনের সুযোগ্য পুত্র জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেনের নামে কটুক্তি করা হয়েছে। একটি মহল জামায়াত ও বিএনপির সাথে হাত মিলিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নে মহাসড়কে বাধাগ্রস্থ করার জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রকে আমাদের প্রতিরোধ করতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার