ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের উত্তর লক্ষীপুর, হাজির হাটি, গৌরনগর, সাতঘরহাটি ও থানাকান্দি গ্রামে আবারও দুই পক্ষের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এলাকায় আধিপত্যকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও কাউছার মোল্লা পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই হামলা-মামলার কারণে সাধারণ মানুষ আতঙ্কে ও অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছে। গত সোমবার রাতে আবারও বাইশমৌজা গরুর বাজারের আধিপত্য নিয়ে হাজির হাটি গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান পক্ষের আবু মেম্বারের লোকজন প্রতিপক্ষের লোকজনের বাড়িতে হামলা চালালে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০টি ঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এসময় তিন পুলিশসহ ১০ জন আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে ১৯ জনকে আটক করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে উভয়পক্ষের ১৯ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করে নবীনগর থানায় মামলা করেছেন।
আটক ১৯ জনকে মঙ্গলবার সকালে জেলা আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রনোজিত রায় বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ১৯ জনকে আটক করা হয়। পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম