নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ২০১৭ সালে বন্ধু শরীফ হোসেনকে ঘুমন্ত অবস্থায় কুপিয়ে হত্যার করার অপরাধে মো. মিলনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুর তিনটার দিকে জেলা ও দায়রা জজ সালেহ উদ্দিন আহমদ মামলার রায়ে এ আদেশ দেন। এ সময় আসামি আদালতের ডকে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামি মিলন ও নিহত শরীফ ইটভাটায় কাজ করতেন। তারা দু’জন বন্ধুও। ফলে শরীফের বাড়িতে প্রায় যাতায়াত করতেন মিলন। কিন্তু ঘরে বিবাহযোগ্য বোন থাকায় শরীফ একদিন মিলনকে যখন-তখন বাড়িতে আসতে নিষেধ করে। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় মিলন। এক পর্যায়ে ২০১৭ সালের ২৮ মে বিকালে সুবর্ণচরের চর মহি উদ্দিন গ্রামে নিজ ঘরের বারান্দায় ঘুমন্ত অবস্থায় মিলন-শরীফকে কোপ দেয়। এতে তার গলার এক পাশ কেটে প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক শরীফকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ওই রাতেই নিহতের ছোট ভাই মো. আরিফ হোসেন বাদী হয়ে মিলনকে আসামি করে চরজব্বার থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তদন্ত শেষে মিলনকে একমাত্র অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন।
পাবলিক প্রসিকিউটর গুলজার আহমেদ জুয়েল মিলনের মৃত্যুদণ্ডের কথা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আদালত মোট ২৪জন সাক্ষীকে পরীক্ষা করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামলার একমাত্র আসামি মো. মিলনের বিরুদ্ধে আজ আদালত মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। মামলায় আসামি পক্ষের শুনানি করেন শিবনাথ ভৌমিক।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক