টাঙ্গাইলের মধুপুরে বৃদ্ধ হাসেন আলী (৬৫)-এর বিরুদ্ধে সাত বছরের এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ধর্ষক হাসেন আলীকে আটক করে আজ সোমবার কোর্টে চালান করে দিয়েছে পুলিশ। ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গতকাল রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে শিশুটিকে চিপ্সের লোভ দেখিয়ে হাসেন আলী তার নির্জন বাড়িতে নিয়ে মুখে গামছা বেঁধে ধর্ষণ করে। অভিযুক্ত হাসেন আলী উপজেলার বেরীবাইদ ইউনিয়নের বেরীবাইদ গ্রামের মৃত মানিক মন্ডলের ছেলে। ধর্ষিতা শিশুটি পার্শ্ববর্তী এক দিনমজুরের সন্তান।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহীন মিয়া, সন্দীপ সিমসাং ও ফারুক আহমেদসহ এলাকাবাসী জানান, স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী ছুটির পর সহপাঠীদের সাথে বাড়ি ফিরিছিল। পথিমধ্যে চিপ্সের লোভ দেখিয়ে হাসেন আলী শিশুটিকে রাস্তার ধারেই তার নির্জন বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় শিশুটির ধস্তাধস্তিতে মুখের গামছার বাঁধন খুলে গেলে শিশুটির ডাকচিতকার ও কান্নার শব্দে পাশের বাড়ির লোকজন দৌঁড়ে এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে এবং হাসেনকে আটক করে রাখে। এরপর মধুপুর থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বেরীবাইদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লিংকন চাম্বুগং ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শিশুটি বিদ্যালয়ের প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষার্থী। আমি এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার নিন্দা জানাই ও বিচার চাই।
বেরীবাইদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জুলহাস উদ্দিন জানান, আমি এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার কথা শোনামাত্রই আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
মধুপুর থানার ওসি তারিক কামাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শিশুটিকে উদ্ধার করে আজ সোমবার টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে এবং অভিযুক্ত হাসেন আলীকে আটক করে কোর্টে চালান দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ