১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ২১:২৫

রাতের আঁধারে নির্মাণ হয় কুমিল্লার প্রথম শহীদ মিনার

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা :

রাতের আঁধারে নির্মাণ হয় কুমিল্লার প্রথম শহীদ মিনার

বৃহত্তর কুমিল্লার প্রথম শহীদ মিনার নির্মিত হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে। ১৯৫৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক শাখায় এ শহীদ মিনার তৈরি করা হয়। ধারাবাহিকভাবে তিনবার শহীদ মিনার পুলিশ ভেঙে দেওয়ার পর রাতের আঁধারে নির্মাণ করা হয় এ শহীদ মিনার।

কলেজের শিক্ষক ও বিভিন্ন গ্রন্থের সূত্রমতে, ১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত অস্থায়ী শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো হতো। ১৯৬৩ সালে পাকিস্তানি শাসকদের বৈরিতা উপেক্ষা করে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী তা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়। তৎকালীন অধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম শহীদ মিনারটি বর্তমান বিজ্ঞান ভবন সংলগ্ন পুকুরে (বর্তমানে ভরাটকৃত) তা ডুবিয়ে রাখেন। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তা পুকুর থেকে উত্তোলন করে কলেজ ফটকের সামনে বর্তমান স্থানে স্থাপন করা হয়।
 
কলেজের শিক্ষক পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, ১৯৮৮ সালে কুমিল্লা টাউন হল মাঠ সংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার তৈরি করা হয়। এর পূর্বে ভিক্টোরিয়া কলেজ শহীদ মিনারে কুমিল্লার সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানাতো। ২০১০ সালে ডিগ্রি শাখার কলা ভবনের সামনে প্রশ্বস্ত জায়গা নিয়ে আরেকটি শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। ২০১৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিক শাখার শহীদ মিনারটিকে মূল স্তম্ভ ঠিক রেখে সংস্কার করা হয়।

এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. রুহুল আমিন ভূঁইয়া বলেন, ঐতিহ্যবাহী ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনসহ প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা রয়েছে। এ কলেজের প্রায় ত্রিশজন ছাত্র-শিক্ষক ভাষা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তাদের মধ্যে অন্যতম ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, রফিকুল ইসলাম, অতীন্দ্র মোহন রায়, আহমেদ আলী, আব্দুল গণি মুন্সি, সিরাজুল ইসলাম, আবুল খায়ের ও আমিরুল ইসলাম।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর