নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের দায়ের করা মামলা রুজু করা হয়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল শিকদার গ্রুপের পক্ষে ছাত্রলীগ কর্মী তারেক আহমেদ ও ভুলতা ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হামজালার গ্রুপের পক্ষে তার স্ত্রী মুন্নি আক্তার বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন।
বৃহস্পতিবার রাতে রূপগঞ্জ থানায় উভয় পক্ষের মামলা রূজু করা হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মেহেদী হাসান বাপ্পি, জিসান, রফিক, সুমন, দ্বীন ইসলাম, দ্বীপ বিশ্বাস, সোহাগ, আসাদ, মেহেদী হাসান রনিসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারী রাত ৯ টার দিকে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় এক পক্ষ আরেক পক্ষের দলীয় কার্যালয় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল শিকদার গ্রুপের পক্ষে ছাত্রলীগ কর্মী খন্দকার তারেক আহম্মেদ বাদী হয়ে হামজালা, সিয়াম, মানিক, সৌরভ, ইসমাইল, সোহাগ, মেহেদীসহ অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে ভুলতা ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হামজালার গ্রুপের পক্ষে তার স্ত্রী মুন্নি আক্তার বাদী হয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগৈর সভাপতি ফয়সাল আলম শিকদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শেখ ফরিদ মাসুম, আব্দুল্লাহ ও ইমরানসহ ৫০/৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মেহেদী হাসান বাপ্পি, জিসান, রফিক, সুমন, দ্বীন ইসলাম, দ্বীপ বিশ্বাস, সোহাগ, আসাদ, মেহেদী হাসান রনিসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান জানান, এ ঘটনায় উভয় পক্ষ মামলা দায়ের করে। যারা প্রকৃত দোষী তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল