আজ মধ্যরাত থেকে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে আগামী ২ মাসের জন্য ইলিশসহ সব ধরণের মাছ শিকার বন্ধ হয়েছে। সরকারের নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়ে জেলেরা নৌকা, জালসহ মাছ ধরার সকল সরঞ্জাম নদী থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। তবে যেহেতু আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে তাই যত দ্রুত সম্ভব জেলে পরিবারগুলোর জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি চাল বিতরণের দাবি জানিয়েছেন তারা। সেই সাথে ব্যাংক ও এনজিওর ঋণের কিস্তির টাকা আদায় বন্ধ রাখারও দাবি তাদের। আর এমনটা হলে সরকারের নিষেধাজ্ঞা মানতে তাদের কোন সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন জেলেরা। এদিকে জেলেদের দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় মৎস্য বিভাগ।
প্রাতি বছরের মত এবারও ১লা মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ২ মাস ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশসহ সকল প্রজাতির মাছ শিকার, বাজারজাত করণ, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। আর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ইতোমধ্যে জেলেদের সচেতনতামূলক কাজ সম্পন্ন করেছে মৎস্য বিভাগ। জেলেরা জানান নিষেধাজ্ঞা সঠিকভাবে পালন করলে ২ মাস পরে নদীতে গিয়ে লাভবান হবেন তারা। এজন্য নিষেধাজ্ঞা কঠোর করার দাবি তাদের।
এদিকে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত চাল দ্রুত তাদের মাঝে বিতরণ এবং বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিওর ঋণের কিস্তির টাকা আদায় বন্ধ করতে পারলে তারা ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা সঠিকভাবে পালন করতে পারবেন। এজন্য দ্রুত চাল বিতরণ ও কিস্তি আদায় বন্ধের জন্য মৎস্য বিভাগের মাধ্যমে সরকারে কাছে দাবী জানিয়েছেন জেলেরা।
মৎস্য বিভাগ জানায়, ভোলার সাত উপজেলার প্রায় সাড়ে ৩ লাখ জেলে থাকলেও ভোলা মৎস্য বিভাগের নিবন্ধনকৃত জেলে সংখ্যা রয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার ২৬০ জন। তবে এবছর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার সময় ৭০ হাজার ৯৪৩ জন জেলের জন্য চাল বরাদ্দ হয়েছে।
ভোলা সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, জেলেদের দাবির প্রেক্ষিতে নিষেধাজ্ঞা শুরুর ৭ দিনের মধ্যে জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল বিতরণ শুরু করা হবে। পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞার দুই মাস ব্যাংক কিংবা এনজিও থেকে নেয়া ঋণের সাপ্তাহিক বা মাসিক সকল কিস্তির টাকা আদায় বন্ধ রাখার জন্য তারা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার