কক্সবাজারের টেকনাফে বনাঞ্চলের কাছে অবৈধভাবে স্থাপিত তিনটি করাতকল ও প্রায় একশত ঘনফুট কাঠ জব্দ করেছে যৌথ টাস্কফোর্স। এ সময় লেদার মোহাম্মদ ইসমাইলের মালিকানাধীন আরও একটি করাতকল থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
রবিবার বিকালে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী, দরগাহপাড়া ও লেদা এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বনবিভাগের টেকনাফ রেঞ্জ কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক আহমেদ।
বনবিভাগ সূত্র জানায়, রবিবার দুপুরে উপজেলার হ্নীলার পানখালী, দরগাহপাড়া ও লেদা এলাকায় টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবুল মনসুর, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিযান ব্যার-১৫ কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ও টেকনাফ সিপিসি-১ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট (বিএন) মির্জা শাহেদ মাহতাব ও থানা পুলিশের উপপরিদশক সাব্বির আহমদের নেতৃত্বে র্যাব, পুলিশ, আনসার, বনকর্মী, পাহারাদার দলের সদস্যরা এ অভিযানে অংশ নেন।
অভিযানের নেতত্বদানকারী কর্মকর্তা উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.আবুল মনসুর বলেন, অভিযান চলাকালীন মালিকপক্ষ কোনো ধরনের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ার পাশাপাশি বনাঞ্চলের কাছে অবৈধভাবে করাতকল স্থাপন করায় হ্নীলার পানখালী আলী হোছাইনের ১টি, মোহাম্মদ কামাল উদ্দিনের ১টি ও দরগাহপাড়ার মোহাম্মদ ইলিয়াছের ১টি করাতকল (সমিল) উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ সময় ওই তিনটি করাত কল থেকে বনাঞ্চলের প্রায় একশ ঘনফুট কাঠও জব্দ করা হয়েছে। এ সময় লেদার মোহাম্মদ ইসমাইলের আরও একটি করাতকল থেকে ১০হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
বনবিভাগের টেকনাফ রেঞ্জ কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক আহমেদ বলেন, বন ও বনজ সম্পদ রক্ষার্থে বনবিভাগ কোনো ধরনের পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যর্ক্রমকে সমর্থন করে না। এসবের বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সংশ্লিষ্ট করাতকল বিধিমালা-২০১২ সালের আইনুযায়ী মামলা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন