চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে কোনোরকম নোটিশ ছাড়াই অন্য দফতরের তালা ভাঙার অভিযোগ উঠেছে এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত কর্মকর্তা হলেন, নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুলতানা পাপিয়া।
এ বিষয়ে জেলা পরিবার পরিকল্পনা উপ-পরিচালক বরাবর লিখিতভাবে অবহিত করেছেন নাচোল উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সাদিকুল ইসলাম। গত রবিবার উপপ/নাচ/চাঁ-নবাব/২০২০/৮৬ নং স্মারক পত্রে ঘটনাটি অবহিত করেন তিনি।
জানা গেছে, নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরাতন ভবনে এমও (এমসিএইচ-এফপি) নিয়ন্ত্রিত একটি কক্ষে পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের ফাইল, আলমারি ও কিছু ওষুধপত্র নিরাপত্তার জন্য রাখা ছিল। গত রবিবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানার নির্দেশে হাসপাতালের সুইপার সঞ্জয় ওই কক্ষের তিনটি তালা ভেঙে ফেলেন। তালা ভাঙার বিষয়ে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সাদিকুল ইসলামকে কোনোরকম নোটিশ করা হয়নি বলে চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে।
এ বিষয়ে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সাদিকুল ইসলাম বলেন, রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার সময় তালা ভাঙার বিষয়টি জানতে পেরে ওই কক্ষে ছুটে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি কক্ষের আসবাব ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বারান্দায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তিনি বলেন, এরপর বিষয়টি আমি লিখিতভাবে উপপরিচালককে অবহিত করি এবং বেশ কয়েক জায়গায় অনুলিপি প্রেরণ করি।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুলতানা পাপিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে যা বলার উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারই বলবেন।
এদিকে এ ঘটনা জানার পর পর সোমবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল কাদের ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা সুলতানা।
পরিদর্শন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা সুলতানা জানান, যে কাজটি হয়েছে তা ঠিক হয়নি। এজন্য কক্ষের সমস্ত মালামাল ওই কক্ষেই পুনরায় রাখার জন্য বলা হয়েছে।
চেয়ারম্যান আবদুল কাদের সাংবাদিকদের জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক। নোটিশ ছাড়াই অন্যের কক্ষের তালা ভাঙা মোটেও সমীচীন হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম