বয়স ৭০ ছুঁই ছুঁই। তারপরও আনূরা বেগম পাননি বয়স্ক ভাতার কার্ড। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, বয়স্ক ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীর বয়স সর্বনিম্ন ৬২। স্বামীহারা আনূরা নানা রোগ-শোকে ভুগছেন। চিকিৎসা দূরের কথা, তিন বেলা খাবার জোটানোও তার জন্য কষ্টকর। ক্ষোভে দুঃখে আনূরার প্রশ্ন, আর কত বয়স হলে বয়স্ক ভাতার কার্ড পাবো?
আনূরা নাটোরের উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের দেবনগর গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের মেয়ে। এই বৃদ্ধ বয়সে বেঁচে থাকার জন্য তিনি একটি বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য ঘুরেছেন জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে। বহুজনের আশ্বাস পেলেও এখনো কার্ড পাননি আনূরা।
এলাকাবাসী জানান, পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ নেই আনূরার। কর্মক্ষমতাহীন আনূরার দিন চলে অর্ধাহারে অনাহারে। লজ্জায় ভিক্ষাও করেন না। বিয়ের এক মাসের মাথায় জীবনের প্রথম সংসার ভেঙে যাওয়ায় আর বিয়েও করেননি। এখন জীবন যুদ্ধে আর পেরে উঠছেন না। উপার্জন নেই, নেই খাবার কেনার অর্থ, রাতে আলো জ্বালানোর তেল কেনারও টাকা নেই। পৈতৃক সূত্রে পাওয়া বাড়ির দুই শতাংশ জমি ছাড়া আর কিছুই নেই তার।
বছর চারেক পূর্বে স্থানীয় বিপ্লব নামের এক শিক্ষকের দেওয়া এক বান টিন ও তিন হাজার টাকায় কোন রকমের একটি ঘর করেছেন।
প্রতিবেশী রবিউল ইসলাম বলেন, এই দুনিয়ায় আনূরার আপন বলতে তার কেউ নেই।
এ ব্যাপারে জামনগর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আনূরা বেগম কখনও তার কাছে এ বিষয়ে আবেদন জানাননি। এবারের বরাদ্দেই তাকে সরকারি ভাতার আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা