ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে সোহাগ মিয়া নামে এক যুবলীগ নেতাকে পুলিশের অভিযানের সময় পালিয়ে যেতে সহযোগিতার অভিযোগে মামলা হওয়া যুবদল নেতা মিজানুর রহমানকে তার দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মিজানুর রহমান বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক। জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক মো. আল আমিন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদের নির্দেশনায় মিজানুর রহমানকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ভিডিও চিত্র ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধন্তী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মিয়াকে ধরতে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডের ইউনুস মিয়ার দোকানে ১৫ মে রাত ১১টার দিকে অভিযান চালায় পুলিশ। উপজেলার ইসলামপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এস.আই) সুমন চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। এসময় বুধন্তী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান কৌশলে সোহাগ মিয়াকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ আসার পর দোকানের ভেতরের দিকে যেতে দিচ্ছেন না। একপর্যায়ে ভেতর থেকে সোহাগ মিয়া দৌড়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মিজানুর রহমানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। পরে মিজানুর রহমানকে কারণ দর্শাতে বলে জেলা যুবদল। তবে ঘটনার পর পরই মিজানুর রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
মিজানুর রহমান বলেন, আমি মোবাইল ফোনের সিমকার্ড তোলার জন্য একটি দোকানে যাই। এ সময় পুলিশ এসে আমার নাম জানতে চায়। এ নিয়ে ওনাদের সাথে আমার তর্ক-বিতর্ক হয়। দোকান থেকে কেউ তখন চলে গেছেন কিনা, আমি দেখিনি। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। দীর্ঘ সময় জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়ে আবার একই পরিস্থিতির শিকার হয়েছি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই