আগামী ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য বগুড়া-১ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর কর্মী, সমর্থক, প্রচারকাজে নিয়োজিতদের মারপিট, ভয়ভীতি প্রদর্শন, মামলা দিয়ে হয়রানি, বিএনপি অফিস ভাঙচুরের প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এ কে এম আহসানুল তৈয়ব জাকির।
নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তিনি। শনিবার বিকালে জেলা বিএনপির উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। একই সাথে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ধানের শীষের প্রার্থী জাকির অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও তার সমর্থকরা পুরো নির্বাচনী এলাকায় এক ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছেন। মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন থেকে এখন পর্যন্ত নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে শোডাউন করছেন। ননএমপিও শিক্ষকদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে নৌকার পক্ষে ভোট কেন্দ্রে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে ভোট ডাকাতির নীলনকশা তৈরি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ধানের শীষের কর্মীদের মারপিট, নিজেরা সোনাতলা থানার হাটকরমজা আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর ও ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে উল্টো বিএনপির ৮০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে আওয়ামী লীগ। অথচ বিএনপি অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা দিলেও পুলিশ এখনও সে মামলা নিচ্ছে না। এ ছাড়া এসব বিষয়ে নির্বাচন অফিসে অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা জরুরি। এত কিছুর পরেও খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে আন্দোলেনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি এবং শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকব।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান বলেন, গত ৩০ ডিসম্বরের পুনরাবৃত্তি ঘটলে জনগণ সহ্য করবে না। জনগণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুললে তার দায়-দায়িত্ব বিএনপির নয়, সরকারের। কারণ বার বার বিএনপি মার খাবে না। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সদরের সংসদ সদস্য গোলাম মো. সিরাজ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট এ কে এম মাহবুবুর রহমান, হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, সাবেক এমপি কাজী রফিকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট এ কে এম সাইফুল ইসলাম, ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, আলী আজগর হেনা, জয়নাল আবেদীন চাঁন, মাহবুবর রহমান হারেজ, রেজাউল করিম বাদশা, এম আর ইসলাম স্বাধীন, কে এম খায়রুল বাশার, ওমর ফারুক খান, মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, সহিদ উন নবী সালাম, যুবদলের খাদেমুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, ছাত্রদলের আবু হাসান ও নুরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন