শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় এক কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার বিঝারি ইউনিয়নের কান্দিগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ শনিবার সকালে নড়িয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে। তবে এঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ, ওই ছাত্রী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছাত্রী স্থানীয় একটি কলেজের ডিগ্রির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে শরীয়তপুর সরকারি কলেজে বড় বোনের একটি মিটিংয়ে যোগ দিতে আসেন ওই ছাত্রী। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিটিং শেষে অটোরিকশায় করে পালং উত্তর বাজার দিয়ে কানার বাজারে যান তিনি। সেখান থেকে আবার নিজ এলাকা নড়িয়া কাপাশপাড়া যাওয়ার জন্য অটোরিকশা না পেয়ে হাঁটতে থাকেন ঐ কলেজছাত্রী।
হাঁটতে হাঁটতে কান্দিগাঁও এলাকায় পৌঁছলে ফাঁকা সড়কে ওই এলাকার জয়নাল মোল্লার ছেলে শৃঙ্খল মোল্লা (২৫) তাকে জোর করে নিপু খাঁর মাছের প্রজেক্টের ঝোপঝাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে শৃঙ্খল ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে শৃঙ্খলের তিন বন্ধু কালু শিকদারের ছেলে হৃদয় শিকদার (২৫), আলমগীর মোল্লার ছেলে মুরাদ মোল্লা (২২) ও কাশেম সরদারের ছেলে আরিফ সরদার (২৩) মুখ চেপে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালে ভর্তি ওই ছাত্রী বলেন, ‘আমার সঙ্গে শৃঙ্খল, হৃদয়, মুরাদ ও আরিফ খারাপ কাজ করেছে। তাদের হাত-পায়ে ধরলেও আমাকে ছাড়েনি । আমার স্বর্ণের চেইন, কানের দুল, আংটি, রুপার নুপুরসহ নগদ ৫ হাজার টাকা নিয়ে যায় ওরা।’ ওই ছাত্রীর বাবা কান্না বিজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার মেয়েকে ওরা খারাপ কাজ করেছে। মেয়েকে এখন কিভাবে বিয়ে দেব, গ্রামে কেমনে মুখ দেখাবো? আমার মেয়েকে যারা খারাপ কাজ করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে ফাঁসি দেয়া হোক।’
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. লিমিয়া সাদিয়া বলেন, ওই ছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট সম্পূর্ণ হলে বলা যাবে তার সঙ্গে কি হয়েছিল। নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বড় ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক