সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে ‘বলদ বাড়িয়া’ বলে কটাক্ষ করায় চিকিৎসক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আব্দুন নূর তুষারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল মামলার এজাহার জমা দিয়েছেন।
মামলায় ডা. আব্দুন নূর তুষার (৫০), রাজিয়া কবির (৩৭) ও রিপন খাঁনসহ (৪০) এই তিনজনের ফেসবুকে দেওয়া পোস্ট শেয়ারকারী অজ্ঞাতনামা আরও ৬৩৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, গত ২০ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টায় ডা. আব্দুন নূর তুষার তার ফেসবুক আইডি থেকে একটি স্ট্যাটাস পোস্ট দেন। ওই স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন ‘আজ ২০-০৪-২০২০ ইং শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ, বগুড়ায় করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরীক্ষার আরটি পিসিআর ল্যাব উদ্বোধন করা হয়। সামাজিক দূরত্বের নমুনা দেখুন। পুরো দেশটাই বি-বাড়িয়া বলদ বাড়িয়া’।
ডা. তুষার কোনো কারণ ব্যতীত এবং অনুল্লেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বি-বাড়িয়া মর্মে বিকৃত উচ্চারণে উপস্থাপন করে আইন ভঙ্গ করেছেন বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, ডা. তুষারের পোস্টে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রায় ৩২ লাখ মানুষের মনে ক্ষোভ ও উত্তেজনা উস্কে দেয়। এ পোস্টের কারণে যেকোনো সময় যেকোনো স্থানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তানরা বিবাদ ও কলহের সম্মুখীন হওয়ার পথ সুগম করে দিয়েছেন ডা. তুষার। ২০১১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন প্রজ্ঞাপন দ্বারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংক্ষিপ্ত রূপ বি-বাড়িয়াকে আইনগতভাবে নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য করেন।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, আসামিদের এ অপকর্মে সমগ্র জেলাবাসীর মতো আমিও অপমাণিত ও মর্মাহত হয়েছি। বলদ বাড়িয়া বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৩২ লাখ মানুষকে অপমান করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ শাহজাহান জানান, এজাহার পেয়েছি। জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে মামলাটি নথিভুক্ত করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম