কুড়িগ্রামের রৌমারীতে কৃষকদের বোরো ধান ক্ষেতে নেক ব্লাস্টার রোগ দেখা দিয়েছে। এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ২ হাজার হেক্টর বোরো ধান ক্ষেত। এমনকি কেউ কেউ এ রোগে নষ্ট হয়ে যাওয়া ধান কেটে গরুর খাবার হিসেবেও ব্যবহার করছেন। তাছাড়া করোনার কারণে এলাকার উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তারাও মাঠে আসছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে দিশেহারা এখানকার প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকরা।
জানা গেছে, উপজেলার নলবাড়ি গ্রামের রহম আলী, হাবিবুর, আবু সাইদ, রহিজ মিয়া নামে ৪ জন ক্ষুদ্র কৃষক, তারা ৩ একর ২৮ শতক জমিতে ২৮ জাতের বোরো ধান লাগিয়েছেন। শুরু থেকে রোপন করা ধানগুলো ভালোভাবেই বেড়ে উঠেছিল। হয়তো অল্প সময়ের মধ্যেই ধানগুলোর শীষ বড় হয়ে সোনালী রং ধারণ করত। কিন্তু বর্তমানে নেক ব্লাস্টার রোগ তাদের বোরো ধান ক্ষেত নষ্ট করে দিয়েছে।
এছাড়াও গত বন্যার পর আমন ধানেও এবার নেক ব্লাস্টার রোগে আক্রান্ত হয়। ফলে ফসল না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে রৌমারী উপজেলার এসব কৃষক। বোরোর শুরুতে ভালো ফসল দেখে কৃষকরা খুশি হলেও এখন তাদের চোখে মুখে হতাশা। এসব ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক এখন সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে লোকসান পূরণের প্রত্যাশা করছেন। তারা চান কৃষি প্রণোদনা। উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ৯ হাজার ৮শ ২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে।
উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রায় ২ হাজার হেক্টর বোরো ধানের জমি নেক ব্লাস্টার রোগ দেখা দিয়েছে। ফলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। টাপুরচর গ্রামের কৃষক জিয়াউর রহমান বলেন, আমি ১ একর জমিতে বোরো ধান চাষ লাগিয়েছি। কিন্তু নেক ব্লাস্টার রোগে আক্রমণ হওয়ায় কাঁচা ধান কেটে গরুকে খাইয়েছি। তিনি অভিযোগ করেন, এত ক্ষতিতে মাঠ পর্যায়ে কৃষি অফিসের কোন কর্মকর্তা আমাদের কাছে আসেনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহারিয়ার হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সারাদেশেই বোরোর নেক ব্লাস্টার রোগের আক্রমণ হয়েছে। এখানকার কৃষকদের সচেতনতার অভাবে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি হয়েছে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে মাইকিংসহ লিফলেটও বিতরণ করেছি।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন