ময়মনসিংহের ভালুকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন প্রায় ৩০০ কিন্ডারগার্টেন স্কুলের অন্তত ২ হাজার ৬শ’ শিক্ষক-শিক্ষিকা। গত ১৪ই মার্চ হতে সরকারি নির্দেশ মোতাবেক বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো বন্ধ থাকায় তারা কোন বেতন ভাতা পাচ্ছেন না। পৌর শহরের শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়াসহ সংসার চলতো স্কুলের বেতনের টাকায়। গ্রামে যারা শিক্ষকতা করে তাদেরও একমাত্র ভরসা এই বেতনই। পবিত্র রমজান মাসে তারা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। ধার-দেনা করে এই ক’দিন তারা চললেও বর্তমানে তাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। একাধিক শিক্ষকদের দাবি তাদেরকেও যেন সরকারি প্রণোদনার আওতায় আনা হয়। সরকার তাদের দিকে ফিরে তাকালে অন্তত খেয়ে পরে তারা জীনবটা চালাতে পারতো।
মো. রেজাউল করিম নামের এক শিক্ষক জানান, ‘আমরা প্রায় ৩ মাস যাবত বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছি। আমরা তো আর লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ নিতে পারি না। তাই বর্তমানে অনেকটা খেয়ে না খেয়ে জীবন কাটাচ্ছি। সরকারকে আমাদের দিকে একটু নজর দিতে অনুরোধ করছি।’
ভালুকা উপজেলা কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শওকত আলী জানান, আমাদের ভালুকায় প্রায় তিনশ’ কিন্ডারগার্টেন স্কুল আছে। এগুলোতে অন্তত ২ হাজার ৬শ’ শিক্ষক আছে। স্কুলগুলো বন্ধ থাকায় বেতন-ভাতা না পাওয়ায় আমাদের জীবন চলা দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শিক্ষাবান্ধব প্রধানমন্ত্রী, তিনি জাতির জনকের কন্যা। তিনি অন্তত আমাদের ভালুকাসহ সারাদেশের শিক্ষকদের জন্য কিছু করবেন বলে আশা রাখি। আমরা উনার মুখের দিকে চেয়ে আছি।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. জুয়েল আশরাফ জানান, ‘তাদেরকে আমাদের সরকারিভাবে কোন কিছু দেওয়ার সুযোগ নাই। তবে ইউএনও স্যারের নির্দেশ মোতাবেক আমি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও প্রধানদের অনুরোধ করছি সাধারণ শিক্ষকদের যাতে বেতন দেওয়া হয়।’ ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ কামাল জানান, সরকারিভাবে কোন প্রণোদনা বা কোন প্যাকেজে এখনো তাদের জন্য আছে কিনা আমার জানা নেই। তবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে বলছি তিনি মনিটরিং এর মাধ্যমে উপজেলার সকল কিন্ডারগার্টেন ও কোচিং সেন্টার মালিকরা যাতে তাদের বেতন দিয়ে দেন এর ব্যবস্থা নিতে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক