দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার অন্যতম প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌরুটে ঢাকামুখী মানুষের ঢল অব্যাহত রয়েছে। শনিবার টানা ১৪তম দিনেও মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ঢাকাগামী মানুষের ঢল নামে।
রবিবার থেকে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে যাবে এমন সংবাদে বাড়িতে থাকা এসব কর্মজীবী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ের শ্রমিকেরা যার যার কর্মস্থলে যোগ দিতে ছুটে যাচ্ছেন। শনিবার ভোরেই নামে মানুষের ঢল। করোনার প্রাদুর্ভাব উপেক্ষা করে সংসারের অভাব দূর করতে গত কয়েকদিন যাবত মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে গার্মেন্টস কর্মী ও ব্যবসায়ীদের উপচে পড়া ঢল বেড়েই চলেছে। এর আগে চাকরিতে যোগ দেবার উদ্দেশ্যে গার্মেন্টস কর্মীরা কাঠালবাড়ি ঘাট থেকে গাদাগাদি করে ফেরিতে উঠে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে নেমে ছুটছেন ঢাকার দিকে।
শনিবার সকাল থেকে রো-রো ফেরি শাহ পরান, ফেরি যমুনা ও ফেরি কাকলীর প্রতিটিতে চড়ে অন্তত দুই হাজার মানুষ পদ্মা পাড়ি দিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে এসে পৌঁছান।
মার্কেট খুলে দেওয়ার ঘোষণার পর মানুষের চাপ এমন বেড়ে গেছে বলে জানা গেছে। এখন কারণে অকারণে মানুষ ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা হচ্ছেন। মার্কেট খুলে দেওয়ার ঘোষণার পর পরিস্থিতি খানিকটা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বলেও অনেকে দাবি করছেন। এখন কাউকে প্রশ্ন করা হলে তার কাছে অজুহাতও রেডি থাকে। তাই আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও খানিকটা নিশ্চুপ থেকে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করছেন।
মাওয়া নৌপুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শিমুলিয়া ঘাট থেকে ঢাকা বা নারায়ণগঞ্জে যেতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। শিমুলিয়া ঘাটে কোনো গণপরিবহন না থাকায় বেশী ভাড়ায় গার্মেন্টস বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা মিশুক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে আবার কেউ পায়ে হেটেই ঢাকার উদ্দেশ্যে গন্তব্যে রওনা দেন।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, শনিবার সকাল থেকে শ্রমজীবী মানুষকে ফেরিতে চড়ে নদী পার হতে দেখেছি। তিনটি ফেরিতেই মানুষের চাপ বেশি ছিল। সব মিলিয়ে আনুমানিক দুই হাজার মানুষ নদী পার হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে নিজ কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। কাঠালবাড়ী ঘাটে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে দুপুরের দিকে এই ভিড় কিছুটা কমে এসেছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম