২৫ মে, ২০২০ ১৫:২৭
ঈদের নামাজ আদায় শেষে

করোনা নির্মূলে লাকসামে মসজিদে মসজিদে দোয়া

ফারুক আল শারাহ, লাকসাম প্রতিনিধি

করোনা নির্মূলে লাকসামে মসজিদে মসজিদে দোয়া

লাকসামে ঈদের নামাজ আদায়ের দৃশ্য।

করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে সারাদেশের ন্যায় কুমিল্লার বৃহত্তর লাকসাম অঞ্চলে আজ সোমবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। ঈদের নামাজের পর দোয়া ও মোনাজাতে মুসল্লিরা করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা ও বিশ্বব্যাপী তা নির্মূলে মহান রাব্বুল আলামিনের নিকট প্রার্থনা করেন।

জানা যায়, বৃহত্তর লাকসাম অঞ্চলে (লাকসাম, মনোহরগঞ্জ ও নাঙ্গলকোট) স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩/৪ দিন আগে থেকেই গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নির্দেশনা জানিয়ে দেয়া হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও বিভিন্ন এলাকায় মসজিদে চিঠি দিয়ে মুসল্লিদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায়ের অনুরোধ করেন। এরই প্রেক্ষিতে আজ সোমবার তিন উপজেলার মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেন। শহর এলাকায় মোটামুটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায় করা হলেও কিছু কিছু গ্রামে নিরাপদ দূরত্ব বজায় না রেখে নামাজ আদায় করা হয়েছে বলে জানা গেছে। 

নামাজ শেষে মসজিদে মসজিদে ইমাম ও মসুল্লিরা করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে এবং দেশ ও বিশ্ব পরিমণ্ডল থেকে মহামারি করোনাভাইরাস নির্মূলে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট কেঁদে কেঁদে প্রার্থনা করেন। তবে অন্যান্য বছরের মতো এবার ঈদের নামাজ শেষে একে অন্যের সাথে কোলাকুলির কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছিল না।

২০ বছরের তরুণ থেকে শুরু করে ৮০ বছর বছর বয়সী একাধিক মুসল্লির সাথে এবারের ঈদের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তারা জানান, জীবনে এমন ঈদ দেখিনি। আনন্দের ঈদ করোনাভাইরাস নিরানন্দ নিয়েই হাজির হয়েছে। কেউ কারো বাড়ি-ঘরে যেতে পারছে না, কোলাকুলি করতে পারছে না। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেন পৃথিবীকে করোনাভাইরাসমুক্ত করেন, এটাই দোয়া করি।  

নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লামইয়া সাইফুল জানান, গত ১০ মে পর্যন্ত নাঙ্গলকোট উপজেলা করোনামুক্ত থাকলেও ১১মে থেকে এখানে করোনার প্রকোপ শুরু হয়। এ পর্যন্ত ৮ জন চিকিৎসক, ৬ জন স্বাস্থ্যকর্মীসহ উপজেলার ৪৬ জন নাগরিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অল্প কয়েকদিনে এত বেশি সংখ্যক আক্রান্ত হওয়ায় আমরা উদ্বিগ্ন।

ঈদের ছুটি নিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছুটির থেকেও এখন গুরুত্বপূর্ণ উপজেলাবাসীর পাশে দাঁড়ানো। আজ ঈদের দিনও যদি কোথায়ও যাওয়া প্রয়োজন হয় তার জন্য আমি প্রস্তুত রয়েছি। উপজেলাবাসী ভালো থাকাটাই হবে আমার ঈদ আনন্দ।  

লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ.কে.এম সাইফুল আলম বলেন, করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে হলে সকলকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যারা ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, চট্টগ্রাম কিংবা বাইরের যে কোন এলাকা থেকেই আসুন না কেন নিজে, পরিবার ও সমাজকে করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে কমপক্ষে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকুন। আপনাদের যে কোনো প্রয়োজনে লাকসাম উপজেলা প্রশাসন পাশে আছে।

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর