চলমান করোনা ভাইরাসে লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী উফারমারা গ্রামের বাড়িতে মেয়ের লাশ দাফন করতে দেওয়া হয়নি। এজন্য হতদরিদ্র পিতা এক অ্যাম্বুলেন্স চালকে ৫ হাজার টাকা দেন মেয়ের দাফনের জন্য। কিন্তু সে চালক দাফন না করে মরদেহ তিস্তা নদীতে ফেলে দেন। এরপর তিস্তার পানিতে ভেসে উঠে মরদেহ। এঘটনায় আলোড়ন সৃষ্টি হয় জেলা জুড়ে। ঠিক সেই মুহূর্তে কেউ এগিয়ে না এলেও হতদরিদ্র ওই পিতার পাশে দাঁড়িয়েছে জাতীয় ছাত্রসমাজ।
বৃহস্পতিবার সকালে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী উফারমারা গুচ্ছা গ্রামে ছুটে যান জাতীয় ছাত্রসমাজের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন। এ সময় তিনি ওই পিতার বাড়িতে গিয়ে এক মাসের খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদান করেন। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল, চাল, ডাল, আলু, তেল, সেমাই, চিনি লবণ, বেগুন ও অন্যান্য মালমাল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পাটগ্রাম উপজেলার জাতীয় ছাত্রসমাজের সভাপতি আবু ফয়সাল পারভেজ, পৌর সভাপতি জাহিদ হাসান, উপজেলা সাধারন সম্পাদক সুমন ইমলাম, সিনিয়র সহ সভাপতি শামসুদ দোহা প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল