৮ জুলাই, ২০২০ ১৯:১১

চাঁদপুরে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

চাঁদপুর প্রতিনিধি:

চাঁদপুরে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের টোরা মুন্সিরহাট এলাকায় গৃহবধূ আবিদা সুলতানা মুক্তিকে (২৪) শ্বশুর বাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মুক্তির পরিবার বলছে, তারা হত্যার ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নিতে স্থানীয় একটি চক্র কাজ করছে।

মঙ্গলবার রাতে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। হত্যার শিকার মুক্তি চাঁদপুর শহরের ৫নং ওয়ার্ড রঘুনাথাপুর গ্রামের আবুল হোসেন হাজীর মেয়ে। তার আয়মান (৪) নামের কন্যা সন্তান রয়েছে। 

অভিযুক্ত মুক্তি’র স্বামী টোরা মুন্সিরহাট এলাকার ইছহাক বেপারী বাড়ির মৃত শাহাদাত বেপারীর ছেলে আলাউদ্দিন বেপারী। সে মুন্সিরহাট বাজারে একটি খাবার হোটেলে কাজ করে।

ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক নুরুল ইসলাম জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে রাত ১ টায় ঘটনাস্থলে যাই। সেখান থেকে রাত ৩টায় মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে ঘটনার রহস্য জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার আলামত দেখা গেছে। ধারনা করা হচ্ছে, ওই গৃহবধূর সাথে স্বামীর পরিবারের কলহ ছিল।

মুক্তি’র বড় ভাই মাছুম হাজী জানান, তার বোনের সাথে গত ৬ বছর আগে আলাউদ্দিন বেপারীর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় তাকে ব্যবসা করার জন্য নগদ ২লাখ টাকা এবং বোনকে স্বর্ণ গহনা দিয়ে সাজিয়ে দেয়া হয়। তাদের সংসার ভালই চলছিল। কিন্ত এক সময় মুক্তি’র সাথে শ্বশুর পবিরারের ঝগড়া বিবাদ শুরু হয়। তারা বিভিন্নভাবে আমার বোনকে নির্যাতন করে। এসব কারণে আমরা পারিবারিকভাবে আলাউদ্দিন ও তার অভিভাবকদেরকে বুঝিয়েছি। মঙ্গলবার বিকেল হত্যার ঘটনা হলেও আমাদেরকে রাত ১টায় জানানো হয়েছে। ঘটনার সময় মুুক্তি’র শাশুড়ি জাকিয়া বেগম আমার ভাগ্নি আয়মানকে নিয়ে অন্য বাড়িতে চলে যায়। এতেই আমরা সন্দেহ করেছি মুক্তিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাকিব উদ্দিন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ চাঁদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। গৃহবধূর পরিবার থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ করা হয়নি।

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর