নেত্রকোনা সদরে গৃহবধূ নাসিমা হত্যার ঘটনায় স্বামী ও বোনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। হাসান আলীকে (৪২) আটক করে মঙ্গলবার বিকালে খুনের ঘটনাস্থল থেকে আলামত উদ্ধার করে সন্ধ্যায় তাকে কোর্টে প্রেরণ করে।
শুক্রবার স্ত্রী নাসিমাকে হত্যা করে কোমড়ে পায়ে বেঁধে পুকুরের নিচে বাঁশ দিয়ে পুতে পালিয়ে যায় হাসান। আর এ ঘটনায় স্ত্রীর ছোট বোন কমলা তাকে সহায়তা করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি এ স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী। তার স্ত্রীর অনৈতিক কাজের জন্যই তাকে খুন করেছে বলেও হাসান স্বীকার করে।
গত সোমবার সকালে জেলা সদরের কাইলাটি ইউনিয়নের তারাকুড়ি গ্রামে বাড়ির সামনে পুকুরে ভেসে উঠে নাসিমা আক্তার (২৮) এর লাশ। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নাসিমার বোন কমলা ও মাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে রাতেই চাঁদপুর থেকে ঘাতক স্বামীকে আটক করে। নাসিমা কাইলাটি ইউনিয়নের তারাকুরি গ্রামের মৃত চাঁনমিয়ার মেয়ে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নাসিমা বাবার বাড়িতে তার স্বামী ও ছোট বোন কমলাকে নিয়ে একই ঘরে বসবাস করতেন। শ্রমিক হিসেবে কাজ করার সুবাদে হাসান আলী এই এলাকায় এসে বিয়ে করেন নাসিমাকে। নাসিমার এর আগে আরও দুটি বিয়ে হলেও একটির পুত্র সন্তান রয়েছে। গত দুই বছরের সংসার জীবনে আরও একটি মেয়ে জন্ম দেন। নাসিমার ছোট বোন কমলার স্বামীর সাথে দ্বন্দ হওয়ায় কমলাও বড় বোন নাসিমার ঘরেই আশ্রয় নেয়। এ সুযোগে শালী-দুলাভাইয়ের সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরই জেরে গত শুক্রবার নাসিমাকে তার বোনের সহযোগিতায় হত্যা করে বাড়ির সামনের পুকুরে পুঁতে রেখে পালিয়ে যায় হাসান।
নাসিমার ভাই সাদ্দাম জানায়, তার দুই বোনের সাথেই বোন জামাইয়ের সম্পর্ক ছিল। বোনদের এসকল কর্মকান্ডে মাসহ তারা দূরে থাকতো।
পুলিশ সুপার আরও জানান, একই ঘরে দুই বোন থাকতো। এমন তথ্য পেয়ে এবং মোবাইল ট্যাক করে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। যেহেতু তাকে সহযোগিতা করে তাই তার বোনকেও আটক করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার