করোনাভাইরাসের কারণে সারা দেশের ন্যায় ঈদগাহ মাঠ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে এবারেও দিনাজপুরে মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনাজপুর জেলা শহরসহ জেলার ১৩টি উপজেলার প্রায় ৭ হাজার মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঈদের নামাজ শেষে বর্তমান প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস থেকে দেশ, জাতিকে হেফাজতে রাখতে ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মুনাজাত করা হয়। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত জেলার ১৩টি উপজেলার ৬,৮০৮টি মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। মানুষের সংকুলান না হওয়ায় কোন কোন মসজিদে দু’টি জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। মুসল্লিরা মুখে মাস্ক পড়ে নিজ নিজ জায়নামাজ নিয়ে ঈদুল আজহার নামাজের অংশগ্রহণ করে।
এ দিকে দিনাজপুর সদর হাসপাতাল জামে মসজিদে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পবিত্র ঈদ-উল-আজহার নামাজে অংশগ্রহণ করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমেদ ভুঞাসহ অন্যান্য মুসল্লিবৃন্দ।
দিনাজপুর শহরের দক্ষিণ লালবাগ জামে মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদের নামাজের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। কাঞ্চন কলোনী শাহী জামে মসজিদে সকাল ৮টায় একটি ও সকালে সাড়ে ৮টায় একটিসহ এই মসজিদে দুইটি জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া দিনাজপুর শহরের চাউলিয়াপট্টি খানকাহ রহমানিয়া জামে মসজিদ, চাউলিয়াপট্টি শিক্ষাদপ্তর সংলগ্ন জামে মসজিদ, চাউলিয়াপট্টি মাটির মসজিদ, লালবাগ ১ নং আহলে হাদিস জামে মসজিদ, ২ নং আহলে হাদিস জামে মসজিদ, পাটুয়াপাড়া জামে মসজিদ, ঘাষিপাড়া ডাবগাছ জামে মসজিদ, বালুয়াডাঙ্গা কাঞ্চন ব্রিজ সংলগ্ন জামে মসজিদ, স্টেশন রোড জামে মসজিদ, জেল রোড কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, গোর এ শহীদ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, পুলিশ লাইন্স জামে মসজিদ, বালুবাড়ী শাহী জামে মসজিদ, দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদ, দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ জামে মসজিদ, দিনাজপুর পলিটেকনিট ইনস্টিটিউট জামে মসজিদ, বালুয়াডাঙ্গা টেম্পুস্ট্যান্ড জামে মসজিদ, বালুয়াডাঙ্গা মিনার মসজিদ, ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদসহ জেলা শহর ও জেলার ১৩টি উপজেলার ৬,৮০৮টি মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।
নামাজ শেষে খুৎবার পর আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস থেকে দেশ, জাতিকে হেফাজত করতে, করোনায় মৃত ব্যক্তিদের রুহের মাগফিরাত কামনা, আক্রান্তদের সুস্থতা কামনা এবং নিজ পরিবার, দেশ ও জাতিকে হেফাজত করার আকুতি জানিয়ে মুনাজাত করা হয়। ঈদুল আজহার নামাজ আদায় শেষে সামর্থবানরা পশু কুরবানী করেন।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন