১০ আগস্ট, ২০২০ ২০:৪০

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণে স্থায়ী বাঁধের দাবি

লাবলু মোল্লা, মুন্সীগঞ্জ

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণে স্থায়ী বাঁধের দাবি

প্রতীকী ছবি

প্রতিবছর ভাঙনে ছোট হয়ে আসছে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মানচিত্র। নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে শতশত বসতবাড়ি, স্কুল, মাদ্রাসা-মসজিদ, মন্দিরসহ নানা স্থাপনা ও কৃষি জমি। এতে করে ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাতে হয় পদ্মাতীরবর্তী হাজারো পরিবারকে। 

এ বছর বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরম আকার ধারণ করেছে নদী ভাঙন। তাই বন্যা ও ভাঙনরোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি দিনে দিনে জোড়ালো হচ্ছে। ভাঙনরোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের লক্ষে ইতোমধ্যে ৪১৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পদ্মার তীরবর্তী লৌহজং উপজেলার কলমা, গাওদিয়া, বেজগাও, লৌহজং, তেউটিয়া, কনকসার, হলদিয়া, কুমারভোগ ও মেদেনি মন্ডল ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে এসব ইউনিয়নের পদ্মার চরেরর শতশত বসতবাড়ির পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দিরসহ নানা স্থাপনা বিলীন হয়েছে পদ্মায়। শতশত একর কৃষি জমিগুলো হারিয়ে গেছে পদ্মাগর্ভে। একে তো করোনা তার উপর বন্যা এখন নদী ভাঙন এত সব সমস্যা নিয়ে কোন মতে জীবন পার করছে ভাঙন কবলিত এলাকার হাজারো  মানুষ। এখানে স্থায়ী একটি বাঁধ নির্মাণ করা না গেলে সময় সাথে সাথে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে পারে লৌহজং উপজেলা। 

পদ্মার ভাঙনের শিকার আনিস উদ্দিন এ প্রতিবেদককে বলেন, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পদ্মার ভাঙন দেখা দেয়। এবার বন্যার কারণে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে কয়েকগুণ। দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা না গেলে ধীরে ধীরে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে লৌহজং। 

ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত বাদশাহ জানান, প্রতিবছর পদ্মার ভাঙনের কবলে পরছি। প্রতি বছরই সরকারি কর্মকর্তা নেতা এমপি সবাই বলে বাঁধ নির্মাণ হবে কিন্তু আজ পর্যন্ত আশার আলো দেখলাম না। তাহলে কি আমরা পদ্মার পাড়ের মানুষ এভাবেই নদীগর্ভে হারিয়ে যাবো। সুলতানা আক্ততার ও করিম মোল্লা জানান, পদ্মার সাথে যুদ্ধ করে আমাদের জীবন যাপন করতে হচ্ছে। এভাবে আর কতদিন চলবে। বিগত বছরের তুলনায় এবছর ভাঙনের তীব্রতা অনেক তাই দ্রুত বাঁধ নির্মাণ না করা হলে বাড়িঘর হারিয়ে রাস্তায় উঠতে হবে। 

তবে আশার আলো শুনালেন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী টি এম রাসেদুল ইসলাম তিনি বাাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, পদ্মার ভাঙন রোধে লৌহজংয়ের শিমুলিয়া থেকে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় বাজার পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৮ কিলোমিটির স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের লক্ষ্যে ৪১৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। কাজ চলছে আশা করি দ্রুত সুখব পাওয়া যাবে। 

আশ্বাস বা প্রতিশ্রুতি নয়, ভাঙন রোধে কার্যকর স্থায়ী সমাধান চান ভাঙন কবলিত মানুষ।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর