পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ডাহরবুনিয়া খাল দখল করে অবৈধভাবে মাছ চাষ করছে একটি প্রভাবশালী মহল। এতে স্বাভাবিক পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে বর্ষ মৌসুমে আমন চাষ ব্যহত হচ্ছে।
এ ছাড়া রবি মৌসুমে সেচ দিতে না পারায় তরমুজসহ অন্যান্য ফসলের চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছে কৃষকরা। এ বিষয়ে এলাকাবাসী স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এলাকাবাসী জানান, গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের ডাহরবুনিয়া খাল অবাধে পানি চলাচলের জন্য গত মে মাসে পানি উন্নয়ন বোর্ড খনন করে। কিন্তু খননের কিছুদিন পরই এলাকার প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে খালটি। খালের আড়াআড়ি বাশ ও জাল ব্যবহার করে বেড়া দিয়ে মাছ চাষ করছেন তারা। এতে করে খালটি কৃষকদের প্রয়োজনে পানি ওঠা-নামার কাজে লাগছে না। খালে জালের বেড়া দিয়ে রাখার ফলে বর্ষা মৌসুমে অবাধে পানি চলাচল করতে পারে না। এতে প্রায় দুই হাজার একর জমির আমন ধান চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে।
খালের পানি চলাচলের বাধা সৃষ্টি করে জলাবদ্ধতা ও চাষাবাদে সমস্যা হওয়ায় এলাকার শতাধিক কৃষক গত ৩০ জুলাই স্থানীয় সংসদ সদস্য বরাবর প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। এছাড়া এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। নির্বাহী অফিসার বিষয়টি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন।
কৃষক বেলায়েত হোসেন, কাওসারসহ অনেকে অভিযোগ করেন, প্রভাবশালী ব্যক্তিরা প্রশাসনের বাধা মানছে না। তারা গায়ের জোরে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
অভিযুক্ত সেকান্দার আলী নামে এক ব্যক্তি বলেন, 'আমি ব্যক্তিগতভাবে নয়। আমরা স্থানীয়ভাবে সমিতির মাধ্যমে মাছ চাষ করি। কৃষকের ক্ষতি হয় এমন কাজ আমি করব না।'
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএসআর এম সাইফুল্লাহ বলেন, 'কয়েকদিন ধরে টানা বর্ষার কারণে ঘটনাস্থলে যেতে পারিনি। অতি শিগগিরই যাব। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কৃষকদের কৃষি কাজে ব্যাঘাত ঘটলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহম্মদ অলিউজ্জামান বলেন, সরকারি খাল দখল করে কেউ মাছ চাষ করতে পারে না। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই