বগুড়ার শাজাহানপুরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সংঘটিত পিকআপ ভ্যান ডাকাতির ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেট কার ও বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়।
এর আগে ঘটনার পরপরই পিকআপ মালিক আরিফ হোসেন বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় ডাকাতির মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম শফিক এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন শাজাহানপুর উপজেলার রহিমাবাদ উত্তর পাড়ার রাতুল (২২), শাবরুল কারিগর পাড়ার তারেক হোসেন (৩২), বগুড়া সদর উপজেলার সাতশিমুলিয়ার সুমন প্রামানিক (২২), একই উপজেলার সুলতানগঞ্জ পাড়ার সাব্বির পাশা ওরফে শাওন (৩৩), মোস্তফা পাশা ওরফে শ্যামল (৩৫), মালগ্রাম উত্তর পাড়ার কালাম ওরফে সুরমা কালাম ওরফে জামাল (৩৪), নিশিন্দারা মধ্যপাড়ার রাসেল আহম্মেদ (৩৫)।
জানা যায়, গত ১২ আগস্ট রাত সোয়া ১২টার দিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের বছিলা এলাকা থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার ফার্নিচারবোঝাই একটি পিকআপ গাইবান্ধা ও দিনাজপুরের উদ্দেশে রওনা হয়। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে গাড়িটি শাজাহানপুর উপজেলার রহিমাবাদ ব্লক ওভারপাস এলাকায় পৌঁছালে ৩টি প্রাইভেট কারে থাকা ১৪-১৫ জন ডাকাত দল টর্চলাইটের সংকেতে গাড়ি থামায়।
তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে চালক আল-আমীন (৩৫) ও হেলপার রফিক (৪৫)-কে হাতকড়া পরিয়ে হাত-পা বেঁধে প্রাইভেট কারে তুলে নেয়। এসময় দুইটি স্মার্টফোন, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও নগদ তিন হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা। পরে ভোর ৫টার দিকে বগুড়া দ্বিতীয় বাইপাসের ঘুনিয়াতলা এলাকায় চালক ও হেলপারকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যায়।
এরপর পিকআপ মালিক আরিফ হোসেন বাদী হয়ে ১৩ আগস্ট শাজাহানপুর থানায় মামলা করেন। মামলার পর সন্দেহভাজন হিসেবে রাতুলকে আটক করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যে পরবর্তীতে মোট ৭ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শাজাহানপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া লুণ্ঠিত মালামাল এবং বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক