গাজীপুরে অপহরণের ১৩ দিন পর মো. ইশতিয়াক (২০) নামে এক কারখানাকর্মীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছে র্যাব-১ এর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার রাতে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।এছাড়া অপহরণকারী দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে র্যাব।
ইশতিয়াক নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকায় একটি কারখানায় চাকরি করেন। তিনি কালিয়াকৈর উপজেলার হাটুরিয়াচালা এলাকার আমির আলী খানের ছেলে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজার থানার সুরবান্দি গ্রামের মো. লোকমান মোল্লার ছেলে শামীম মোল্লা (২২) ও রাজু মোল্লা (২০)। তারা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বাসন থানাধীন আউটপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
র্যাব-১-এর স্পেশালাইজ কোম্পানি পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, ইশতিয়াক দুদিনের ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে কালিয়াকৈর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এসময় অপহরণকারীরা সেখানে গিয়ে কৌশলে তাকে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করায়। পরে অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে আটক করে শারীরিক নির্যাতন করে এবং তার কাছে থাকা মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এসময় ১০০ টাকা মূল্যের ৩টি সাদা স্ট্যাম্পে ইশতিয়াকের স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। পরদিন অপহৃতকে খুন করে লাশ গুম করার হুমকি দিয়ে ইশতিয়াকের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার পরিবারের কাছে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।
র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, অপহৃতের সন্ধান না পেয়ে তাকে উদ্ধারের জন্য ইশতিয়াকের স্বজনরা গাজীপুরে র্যাব-১-এর পোড়াবাড়ি ক্যাম্পে আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব সদস্যরা বিভিন্নস্থানে অভিযান চালায়। অপহরণের ১৩ দিন পর বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব সদস্যরা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের আউটপাড়া এলাকা হতে ফল ব্যবসায়ী দুই ভাই শামীম ও রাজুকে আটক করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপহৃত ইশতিয়াককে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
এসময় আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে অজ্ঞান কাজে ব্যবহৃত ৪টি মলম, অপহৃতের স্বাক্ষরিত তিনটি স্ট্যাম্পসহ ৪টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা পেশায় ফল ব্যবসায়ী। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া থেকে ফল ব্যবসার আড়ালে বিভিন্ন লোককে কৌশলে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়ে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল।
বিডি প্রতিদিন/এমআই