বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনিক এলাকায় বিভিন্ন দপ্তরের কয়েকটি ভবন যুগ যুগ ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। নির্মিত ভবনগুলোর সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এ বিষয়ে নেই কোন তদারকি। উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ভবনগুলো অপসারণের জন্য একাধিকবার অবহিত করেও আইনি জটিলতায় পড়ে হচ্ছেনা কোন সুরহা। বর্তমান অবস্থা এমন যে বিষয়টি কেউ নেই! যে কোন সময় ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে তাই এ ভবনগুলো অপসারণের দাবি স্থানীয়দের।
জানা গেছে, উপজেলার প্রশাসনিক চত্ত¡রে ৮০’র দশকের পূর্বে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক নির্মাণ করা হয় একটি ভবন। ভবনটিতে এক সময় দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সার, বীজ, কীটনাশকসহ কৃষি যন্ত্রাংশ রাখা হতো। এ ভবনটির পাশেই রয়েছে উপজেলা প্রশাসনিক ভবন নামের আরো একটি ভবন। সে ভবনে তৎকালীন ছিলো শিক্ষা অফিস, হিসাব রক্ষণ অফিসসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অফিসের কার্যক্রম। অনরূপ একটি ভবনে রাখা হতো উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ব্যবহৃত গাড়ি, কৃষি দপ্তরের গাড়ি।
বর্তমানে এ ভবনগুলো প্রায় ৩ যুগেরও বেশি সময় ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পলেস্তরা খসে খসে পড়ে বেরিয়ে পড়েছে ইট, লোহার রডসহ ভবনের বিভিন্ন অংশ। ভেঙ্গে পড়ছে ছাদ। এ জরাজীর্ণ পরিত্যক্ত ভবনগুলোতে পথচারিরা অনেক সময় রোদ বৃষ্টিতে অবস্থান করে। ইতিমধ্যে আহত হয়েছে উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসারসহ কয়েকজন পথচারি। কৃষি দপ্তরের ব্যবহৃত গাড়ির ওপর ছাদ ভেঙ্গে পড়েছে।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, উপজেলা চত্বরের দীর্ঘদিন ধরে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ পরিত্যক্ত ভবনগুলোর অপসারণের জন্য তিনি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করবেন।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শাহ-ই আলম বাচ্চু বলেন, ইতিমধ্যে একটি টিম পরিত্যক্ত ভবনগুলোর অবস্থান পরিদর্শন করে ভবনগুলো অপসারনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকতর্তাদের একাধিকবার লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। আইনি জটিলতার কারণে সুরহা হচ্ছে না বলেও তিনি জানান। তবে আগামী মাসিক সমন্বয় সভায় বিষয়টি আবারো উত্থাপন করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন
