পিয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়ায় গত পাঁচদিন ধরে ভারতের অভ্যন্তরে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় দুই শতাধিক পিয়াজ বোঝাই ট্রাক। অতিরিক্ত গরম ও বৃষ্টির কারণে আমদানিকারকদের আশঙ্কা নষ্ট হতে শুরু করেছে পিয়াজগুলো। নষ্ট হলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে বলে মনে করছেন আমদানিকারকরা। টেন্ডার অনুমোদিত পিয়াজগুলো যেন ভারত সরকার দেয় এমনটি দাবি ব্যবসায়ীদের।
শুক্রবারও অনুমতিপত্র আসেনি বলে জানান হিলি স্থলবন্দরের আমদানি রফতানি গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন।
গত সোমবার অভ্যন্তরীণ বাজারে পিয়াজের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে ভারত সরকার পিয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। এতে রফতানি না করায় অভ্যন্তরীণ বাজারে জোগান বেড়ে যাওয়ায় ভারতে পিয়াজের দাম কমে গেছে। ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় ভারতের কৃষকরা পিয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বলেও ভারতীয় রফতানিকারকরা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জানান। ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বরাত দিয়ে হারুন উর রশীদ এ তথ্য জানান।হিলি বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত হতে পিয়াজ আমদানির খবরে পিয়াজের দাম কমার পর আবারও বেড়েছে। গত দুই দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি প্রকারভেদে বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। শুক্রবার প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। এতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে খুচরা বিক্রেতা ও সাধারণ ক্রেতাদের।
আমদানি রফতানি গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, দেশে পিয়াজের রফতানি ভারত সরকার সোমবার থেকে বন্ধ করে দেয়। তবে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন রবিবার যেসব পিয়াজ রফতানির জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে শুধুমাত্র ওইগুলোর বিপরীতে পিয়াজ রফতানি করার অনুমতি দিতে পরে। একইসঙ্গে ওপারে প্রায় দুই শতাধিক ট্রাক আটকা পড়ে রয়েছে ও ১০ হাজার মেট্রিক টন পিয়াজের এলসি খোলা রয়েছে তার বিপরীতেও পিয়াজগুলো দেওয়ার জন্য তাদের অনুরোধ জানিয়েছি। এ বিষয়ে তারা ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন কিন্তু অনুমতি দিচ্ছি ও দিব বলে কালক্ষেপণ করা হয়েছে। তবে অনুমতিপত্র বা নোটিফিকেশন পেলেই পিয়াজ আসবে। শুক্রবারও অনুমতিপত্র আসেনি। তবে শনিবার থেকে পিয়াজ আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান।
উল্লেখ্য, অতিবৃষ্টি ও বন্যায় সরবরাহে ঘাটতি এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে পিয়াজ রফতানি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সোমবার থেকে বন্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে ভারত সরকার।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন