লক্ষ্মীপুরে মো. জাবেদ হোসেন নামের এক কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার বিজয়নগর গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে নিহতের স্বজনদের অভিযোগ প্রেম সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে মেয়ে (ছাত্রের প্রেমিকা) পক্ষের লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন তারা। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। তবে ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা তা সঠিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ। নিহত জাবেদ স্থানীয় হাসন্দী গ্রামের শরীফ উল্যার ছেলে ও স্থানীয় দালাল বাজার ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শী, নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানায়, সদর উপজেলার পূর্ব হাসন্দি গ্রামের মো. সেলিমের মেয়ের সাথে একই ইউনিয়নের হাসন্দির গ্রামের কলেজ ছাত্র জাবেদের দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। বিষয়টি পারিবারিকভাবে জানাজানি হওয়ার পর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে মেয়ের পরিবার। এক পর্যায়ে দু’জনই পালিয়ে বিয়ের করার সিদ্ধান্ত নেন। ঘটনার দিন সকালে বিষয়টি টের পেয়ে মেয়ের ভাই ফরহাদ তার আত্মীয় রুবেল ও লিটন মুঠোফোনে জাবেদকে মেয়ের নানার বাড়িতে ডেকে আনে। পরে তারা জাবেদকে বেদম মারধর করে। এক পর্যায়ে তাকে হত্যার পর ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে বলে অভিযোগ নিহতের স্বজনদের। তারা হত্যাকণ্ডের বিচার দাবি করেন। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে।
এদিকে পিটিয়ে হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করে মেয়ের পরিবার। তারা বলছেন মেয়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় ছেলেটি আত্মহত্যা করেছে।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি তদন্ত মোছলেহ উদ্দিন জানান, নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে হত্যা না আত্মহত্যা বিষয়টি সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন
