১৭ অক্টোবর, ২০২০ ১০:২৬

চাঁপাইনবাবগঞ্জের উৎপাদিত মাছ যাবে ইউরোপের বাজারে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের উৎপাদিত মাছ যাবে ইউরোপের বাজারে

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নবাব মৎস্য খামারে আইপিআরএস (ইন পণ্ড রেসওয়ে সিস্টেম এগ্রিকালচার) হাই-টেক পদ্ধতিতে উৎপাদিত মাছ জেলার চাহিদা মিটিয়ে যাবে ইউরোপের বাজারে। এ ধরনের আইপিআরএস প্রকল্প ভারতে তিনটি এবং পাকিস্তানে চারটি রয়েছে।

জানা গেছে, প্রায় দুই মাস আগে নবাব গ্রুপের স্বত্বাধিকারী আকবর হোসেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের উপকন্ঠ নয়াগোলা বুলনপুর এলাকায় আইপিআরএস পদ্ধতিতে শুরু করেন মাছ চাষ। চীনের প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় ৬০ বিঘা আয়তনের জলাশয়ে মাছ চাষের সর্বাধুনিক আইপিআরএস চাষ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে। এই প্রযুক্তির মাধমে বর্তমানে ১৩টি ইউনিট বা চ্যানেলের  মাধ্যমে প্রতি চ্যানেলে সাড়ে ১২ হাজার থেকে ১৮হাজার পিস রুই, কাতল, গ্রাসকাপ, পাবদা, মনো সেকস তেলাপিয়া, মিনার কাপ ও পাঙ্গাস  মাছ চাষ করা হচ্ছে। চাষের আওতায় রয়েছে ৪২টি বড় পুকুর এবং প্রথমবারের মতো ৬০ বিঘার মৎস্য খামারটি রেসওয়ে পদ্ধতির আওতায় আনা হয়েছে। 

পর্যায়ক্রমে এ পদ্ধতির আওতায় আরো জমি বাড়ানো হবে বলে জানান মৎস্য খামারের মালিক আকবর হোসেন। তিনি জানান, ২০১৯ সালের শুরুতে চীনের কারিগরি বিশেষজ্ঞ টিম চাঁপাইনবাবগঞ্জে এসে প্রকল্পের সিভিল কাজের ডিজাইন করে দিয়ে যান এবং স্থানীয় ইঞ্জিনিয়ারগণের নিবিড় তত্বাবধানে আইপিআরএস'র অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে চীন থেকে যন্ত্রপাতি আসতে সময় লাগে। অবশেষে জুন মাসে এগুলো আসার পর তা স্থাপন করা হয়েছে। আইপিআর এস পদ্ধতিতে জলাশয়ের পুরো জমিকে আরসিসি কাঠামো নির্মাণ করে নদীর মতো বৃত্তাকার চ্যানেল করা হয়েছে। 

তিনি আরও জানান, চ্যানেল ভর্তি পানিতে যান্ত্রিক উপায়ে স্রোত তৈরি করায় এখানে উৎপাদিত মাছের স্বাদ নদীর মাছের মতই হবে। কারণ যান্ত্রিক উপায়ে পুকুরের যাবতীয় বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা থাকায় ক্ষতিকর অ্যামোনিয়া গ্যাস মুক্ত হওয়ায় মাছের রোগব্যাধি হবে না বললেই চলে। এছাড়া কৃত্রিম উপায়ে পানিতে অক্সিজেন মিশ্রনের ব্যবস্থা থাকায় বেশি ঘনত্বে মাছ চাষ করা যাবে। দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ আইপিআরএস অ্যাকুয়াকালচার পদ্ধতির সর্বাধুনিক হাই-টেক মৎস্য খামারটি মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকারের একজন মন্ত্রীর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার প্রক্রিয়া চলছে।  জেলাবাসীর মাছের চাহিদা পূরণ করে অবশিষ্ট মাছ ইউরোপে রপ্তানি করা হবে। ইতিমধ্যে মাছ রপ্তানীর ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপ আলোচনা চলছে।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর