২৯ অক্টোবর, ২০২০ ০১:৫০

কৃষক নির্যাতনকারী সেই যুবলীগ সভাপতিকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি

পাবনা প্রতিনিধি

কৃষক নির্যাতনকারী সেই যুবলীগ সভাপতিকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি

কৃষক মাসুদ হোসেন ও উপজেলার যুবলীগ সভাপতি আশরাফুজ্জামান টুটুল

কৃষককে অপহরণের পর নির্যাতনকারী পাবনার সাথিয়া উপজেলার যুবলীগ সভাপতি আশরাফুজ্জামান টুটুলকে দল থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। সাংগঠনিক শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও সন্ত্রাসী কাজের সঙ্গে জড়িত থাকা এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে তাকে অব্যাপতি দেওয়া হয়েছে বলে বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। 

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিলের নির্দেশে পাবনা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলী মুতজা বিশ্বাস সনি স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। 

অব্যাহতি প্রাপ্ত পাবনার সাথিয়া উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আশরাফুজ্জামান টুটুল সম্প্রতি সাথিয়ার হারিয়াকাহন গ্রামের সোনাই বিলের পানিতে মাছ ধরার অপরাধে এক কৃষককে অপহরণের পর নির্যাতন করেন। পরদিন তাকে ফেলে রেখে চলে যান। এ নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে দল এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন জেলা যুবলীগের আহ্বাক সনি বিশ্বাস। 

সম্প্রতি, টুটুলের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নিজের জমিতে মাছ ধরেন কৃষক মাসুদ হোসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে টুটুলের লোকজন অস্ত্রের মুখে সাঁথিয়া হাট থেকে মাসুদকে তুলে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে রাতভর নির্যাতনের পর বাজারে ফেলে দিয়ে যায়। ভোরে গুরুতর অবস্থায় মাসুদকে উদ্ধার করেন স্বজনরা। এ ঘটনায় সাঁথিয়া থানায় মামলা  করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ না করে তালবাহানা করছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

ভুক্তভোগী মাসুদ বলেন, গত ১৯ অক্টোবর সাঁথিয়া সদরের সাঁথিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে চককোনাবাড়িয়া গ্রামের ফজর আলী কসাইয়ের ছেলে আজিজল, নন্দনপুরের বক্কার পীরের ছেলে আশরাফুল আলম ও বাবুল হোসেন, তেথুলিয়া গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে মতিউর রহমান, আব্দুল মতিনের ছেলে শাকিল হোসেন আমাকে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নিয়ে যায় নন্দনপুরের সাইফুল ইসলামের বসত বাড়ির উত্তর পাশের আশরাফুল আলমের ডিশলাইন অফিস ঘরে। আশরাফুলের নির্দেশে তারা মারপিট করে আমার কাছ থেকে ৫৭ হাজার ২০০ টাকা কেড়ে নেয় এবং ঘরের মধ্যে আটকে রেখে মারপিট করে। এরপর সাঁথিয়া উপজেলা যুবলীগ সভাপতি টুটুলের তেঁথুলিয়া গ্রমের বাড়িতে নিয়ে টুটুলসহ সবাই মিলে মারপিট করে। 

মাসুদ রানা আরও বলেন, ঘটনার পর হাসপাতালে ভর্তি হই। কিছুটা সুস্থ হলে ভাই মিল্টনের সাথে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে অভিযোগ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেনি। উল্টো আমাদের বিষয়টি সমঝোতা করতে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়। তবে টুটুলের অব্যাহতির খবরে যতটা আনন্দ ততটা ভয়ও কাজ করছে তাদের মধ্যে। আবার কখন তাদের তুলে নিয়ে যায়। তারা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনাও করেন।  

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর