ভালো দামের আশায় দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলায় আগাম উৎপাদনশীল জাতের আলু বীজ বপনে ব্যস্ত কৃষকরা। বাজারে আলুর দাম চড়া তাই মৌসুমের প্রথম দিকে আগাম উৎপাদনশীল জাতের আলু উৎপন্ন হলে ভালো দাম পাওয়া যাবে এমনটাই আশা কৃষকদেরা।
এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, এবার দিনাজপুর জেলায় চলতি মৌসুমে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৪ হাজার ৬৪০ হেক্টর জমিতে। চলতি মাস থেকে শুরু হয়েছে আগাম জাতের আলু বীজ বপন। এ চাষ চলবে আগামী জানুয়ারী মাস পর্যন্ত। তবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দিনাজপুর জেলায় আগাম উন্নত জাতের আলু বীজ বপন করেছে উফসি ২ হাজার ৪০৫ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ৪০ হেক্টর জমিতে।
চলতি মৌসুমে উচ্চ ফলন প্রাপ্তির লক্ষ্যে কৃষকদের মাঝে আলু ও সবজি চাষের উপর বিভিন্ন প্রশিক্ষসহ উন্নত মানের বীজ সংগ্রহ, সুষম মাত্রার রাসায়নিক ও জৈব সার প্রয়োগের পরামর্শ দিয়ে উদ্বুদ্ধ করেছেন উপজেলা কৃষি বিভাগগুলো।
কৃষকরা জানায়, চিরিরবন্দর ও খানসামা উপজেলার অধিকাংশ জমি উঁচু আর আগাম জাতের ধান কাটার পর শীতের মৌসুম আসার আগেই এসব জমিতে চাষিরা আগাম ফলনশীল জাতের গ্রানুলা আলু বীজ বপন করছেন। চিরিরবন্দর উপজেলার আলোকডিহি গ্রামের ইছামতি নদীর উত্তর-দক্ষিণ তীর এবং খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়নের উঁচু জমিগুলোতে রবি মওসুমের শুরুতে আলু বীজ বপন করেছেন কৃষকরা। কাহারোল উপজেলায় আগাম জাতের আমন ধান ঘরে তুলেছে অনেক কৃষক। ইতিমধ্যে এসব উচু জমিতে আগাম জাতের আলু চাষের বিভিন্ন প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।
এ ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলার নদীর পার্শবর্তী জমিতে এসব আগাম জাতের আলু চাষ করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এসব আলুর বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষকেরা।
কাহারোলের চামদুয়ারী গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, উপজেলার মাটি আলু চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী হওয়ায় অধিকাংশ কৃষক অন্যান্য ফসলের চাইতে আলু চাষে বেশি আগ্রহী।
কাহারোল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুজাফর মো: সাদেক বলেন, অর্থকারী ফসল হিসেবে আলু চাষ অত্যন্ত লাভজনক এ এলাকায় আলু চাষ করে অধিকাংশ কৃষক অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বি হয়েছে। উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি বিভাগ প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল