ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমির সিনিয়র শিক্ষক ছিলেন বাবু অরবিন্দু কুমার মৃধা।
চাকরি জীবনে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার অনন্য এক প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিলেন আলোকিত মানুষ গড়ার এই কারিগর। দীর্ঘ চাকরি জীবন শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেগঘন পরিবেশে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে তাকে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমি প্রাঙ্গণে একাডেমির সকল শিক্ষার্থীর ব্যানারে এক বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন।
অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিদায়ী শিক্ষক বাবু অরবিন্দু কুমার মৃধার কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য দেন।
কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও দৈনিক ঢাকা টাইমস’র সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলনের পক্ষ থেকে কমিটির সদস্যরা ও বিদ্যালয়ের ১৯৯৮ সাল থেকে ২০২০ সালের এসএসসির বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বিদায়ী এ শিক্ষকের হাতে বিভিন্ন ধরনের উপহার সামগ্রী তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইকবাল হাসান চুন্নু, কাঞ্চন একাডেমির ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. মনিরুল ইসলাম লাভলু, মো. আব্দুল বাতেন মিয়া, মো. লুৎফর রহমান, মো. পলাশ শেখসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
অশ্রু আর ভালোবাসায় বিদায় নেওয়া কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমির সিনিয়র শিক্ষক বাবু অরবিন্দু কুমার মৃধা নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কুলধরের মৃধা পরিবারে ১৯৬০ সালের ২৮ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন বাবু অরবিন্দু কুমার। জীবন সংগ্রামে সফল এ মানুষ সদা হাসিমুখ ও সদালাপী।
এই শিক্ষা গুরুর প্রাথমিক শিক্ষা জীবন শুরু হয়েছিল কামারগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। ১৯৭৮ সালে কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমি থেকে এসএসসি এবং নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট শেষ করে তিনি চলে যান খুলনা সরকারি বিএল কলেজে।
পরবর্তী সময়ে সেখান থেকে বিএসসি এবং বিএড এর পাঠ চুকিয়ে ১৯৮৯ সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবে সরাসরি যোগদান করেন নড়াইল এম এ মান্নান উচ্চ বিদ্যালয়ে। পরে তিনি আবার ফিরে আসেন নিজ এলাকায়। ১৯৯৪ সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এই কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমিতে। তিনি এ বিদ্যালয়ে জীববিজ্ঞান, গণিত, বিজ্ঞান আর ইংরেজির মতো জটিল বিষয়ে দীর্ঘ ২৬ বছর পাঠদান করেছেন।
বিডি প্রতিনিধি/এমআই
