কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে একই পরিবারের নিহত তিনজনকে আজ শুক্রবার জানাজা শেষে জামষাইট গ্রামের সামাজিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। গোরস্থানের পাশেই এশার নামাজের পর তাদের জানাজা হয়।
এদিকে, তিনজনের লাশের ময়নাতদন্ত শুক্রবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত আসাদের বড় ছেলে তোফাজ্জল বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে কটিয়াদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান জানান, হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রাকিব আসকারী ও ডা. সজীব ঘোষ লাশের ময়নাতদন্ত করেছেন। মাথায় আঘাতের কারণেই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। দুই/তিনদিনের মধ্যেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেয়া হবে। আর ভিসেরা রিপোর্টের জন্য প্রায় দেড় মাস লাগতে পারে বলে তিনি জানান। ময়নাতদন্ত শেষে তিনজনের লাশ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে তিনজনের লাশ বাড়িতে পৌঁছে। এশার নামাজের পর নিহতদের নামাজে জানাজা শেষে জামষাইট গ্রামের সামাজিক গোরস্তানে তাদের দাফন করা হয়।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মাশরুকুর রহমান খালেদ জানান, এ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে নিহত আসাদের বড় ছেলে তোফাজ্জল বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে কটিয়াদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম. এ. জলিল জানান, আটক চারজনসহ মোট ৯ জন এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কটিয়াদী উপজেলার জামষাইট গ্রামে নিজ বাড়ির আঙিনা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে একই পরিবারের তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হলেন- মুদি দোকানি আসাদ মিয়া (৪৫), তার স্ত্রী পারভীন (৩৮) ও তাদের ছোট ছেলে লিয়ন (৭)। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই দীন ইসলাম (৩৫), মা কেওয়ার মা (৮০), বোন নাজমা আক্তার (৪২) ও ভাগ্নে আল আমিনকে (২৪) আটক করে পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত