৩১ অক্টোবর, ২০২০ ১৭:৪৩

শুভ্রতা ছড়িয়ে দিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা

সরকার হায়দার, পঞ্চগড়

শুভ্রতা ছড়িয়ে দিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় শুভ্রতা ছড়িয়ে দিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। ভোর বেলা হাঁটতে হাঁটতে বা সকালের চা খেতে খেতে কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হচ্ছে সবাই। আকাশে মেঘ আর কুয়াশা না থাকায় বর্তমানে প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দেখা মিলছে এই বরফের পাহাড়ের।

সুদীর্ঘকাল ধরে দেশের সর্ব উত্তরের সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ের মানুষ সকালে এক কাপ চায়ের উষ্ণতা নিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য উপভোগ করে আসছে। শরৎ, হেমন্ত আর শীতকালেই দেখা মেলে এই মহাশুভ্র নায়কের। খুব ভোরে জেগে ওঠে সে। আস্তে আস্তে নিজেকে মেলে ধরে। তারপর অপার সৌন্দর্যের বিস্তৃতি ঘটিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। মনে হয় হাসছে হিমালয়।

এক শক্তিমান প্রতিভুর মতো দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে হঠাৎ লুকিয়ে পড়ে মেঘের আঁচলে। বাতাশে উড়তে উড়তে মেঘ সরে গেলে আবার জেগে ওঠে। এ যেন লুকোচুরির খেলা। লুকোচুরির খেলায় দর্শকেরাও যোগ দেয়। চোখের পলক নামে না তাদের।

পৃথিবীর সুপেয় পানির সবচেয়ে বড় ট্যাংক বলা হয় কাঞ্চনজঙ্ঘাকে। হিমালয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম শৃঙ্গ। পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেষ্ট থেকে পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ১২৫ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। বরফের এই পাহাড় থেকে নেমে এসেছে চারটি নদী। এই নদীগুলোর জলের ধারা এসেছে পঞ্চগড়েও। এমন সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন পর্যটকরা।

তবে সব সময় দেখা মেলে না সাদা শুভ্র এই পাহাড়ের। মেঘ আর কুয়াশা মাঝে মাঝেই আড়াল করে রাখে তাকে। তখন অপেক্ষা ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। এ জন্য অনেকে বলে থাকেন কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার জন্য কপালও লাগে।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর