যশোর জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ্যবিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে ফোন করে ও এসএমএস পাঠিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করা হয়েছে। চাঁদা না দিলে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি করারও হুমকি দেওয়া হয়। হুমকিদাতারা নিজেদের পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির (সর্বহারা) লোক বলে পরিচয় দেয়। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
হুমকিদাতারা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মাদ রফিকুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আহমেদ জিয়াউর রহমান, যশোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মীর আবু মাউদ, চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোসাম্মৎ লুৎফুন নাহার ও কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মাদ আলমগীরের কাছে চাঁদা দাবি করে।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, যশোর সদর, চৌগাছা ও কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে ফোন করে সংগঠনের সদস্যদের চিকিৎসা ও মামলার খরচ পরিচালনার জন্য চাঁদা দাবি করা হয়। এ ঘটনায় বুধবার তাঁরা থানায় সাধারণ ডায়রি করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বুধবার দুপুর একটা ৫০ মিনিটের দিকে আমাকেও ফোন করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। আমি বিষয়টি সাথে সাথে পুলিশ সুপারকে জানায়’।
চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোসাম্মাৎ লুৎফুন নাহার বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে ফোন করে সর্বহারা পার্টির প্রধান পরিচয়ে এক ব্যক্তি বলেন, তার কর্মীদের চিকিৎসা বাবদ ৩৫ লাখ টাকা লাগবে। ২৫ লাখ সংগ্রহ হয়েছে, বাকি টাকার জন্য আপনি সামর্থ্য অনুযায়ী দেবেন, বিকাশ নম্বর পাঠাচ্ছি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ তমিজুল ইসলাম খান বলেন, ‘আজ (বুধবার) দুপুর একটার দিকে আমার ফোনে একটি মেসেজ এসেছে। ওই মেসেজে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদা না দিলে পরিবারের সদস্যদের ক্ষতির হুমকিও দেওয়া হয়েছে। শুধু আমি নই, আমার দুইজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের কাছেও চাঁদা দাবি করা হয়েছে। আমি বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি’।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আশপাশের বিভিন্ন জেলার প্রশাসকদের কাছে বিভিন্ন সময়ে এমন মেসেজ গেলে বলে জেনেছি’।
যশোরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, ‘আমার কাছেও চাঁদা চাওয়া হয়েছে। প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিদের কাছে ফোনে চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি আমি অবহিত। এর সাথে কে বা কারা জড়িত তা শনাক্তে কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে’।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন