অপ্রাপ্তবয়সে প্রেম। শুরুটা ফেসবুকে। এরপর দুজনের দেখা। অত:পর বিয়ের জন্য প্রেমিকের বাড়িতে হাজির হলো প্রেমিকা। কিন্তু দুজনেরই বয়স কম। বিয়েতে রাজি না প্রেমিকের পরিবার।
এরপর সারাদিন চেষ্টা করেও প্রেমিকাকে তার বাড়িতে ফেরত পাঠানো যায়নি। অবশেষে ডাকা হলো নরসিংদীতে থাকা তার অভিভাবক খালাত ভাইকে। তিনি ভৈরব এলেন; কিন্ত বিয়ে না করে নাছোড়বান্দা প্রেমিকা বাড়ি ফিরে যাবেন না। এদিকে দু’জনের কারও বিয়ের বসয় না হওয়ায় প্রেমিকের পরিবারও বিয়েতে অপারগতা প্রকাশ করতে থাকে। একপর্যায়ে বাধ্য হয়েই প্রেমিকের পরিবার পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ এসে দু’জনকে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানেও মেয়েকে বুঝাতে ব্যর্থ হয়। পরে উপায় না দেখে পুলিশ শুক্রবার রাতে দু’জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে পাঠায়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানা প্রেমিক শাকিলকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং প্রেমিকা তানিয়া আক্তারকে পুলিশের জিম্মায় দিয়ে নরসিংদীতে তার মায়ের কাছে পৌঁছে দিতে আদেশ দেন।
জানা যায়, আটমাস আগে ফেসবুকের মাধ্যমে তানিয়া আক্তার ও শাকিলের প্রেম হয়। তারপর মোবাইলে কথাবার্তা চলতে থাকে। এর মধ্যে দুজনের দুইবার সাক্ষাৎও হয়। বৃহস্পতিবার রাতে শাকিল তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে শুক্রবার ভৈরবে তার বাসায় আসতে বলে। তানিয়া আক্তার তার পরিবারের সম্মতি আছে কি না জানতে চাইলে শাকিল বলে সব ঠিকঠাক আছে। তার কথা অনুযায়ী তানিয়া শুক্রবার বেলা ১১টায় ভৈরবে তার প্রেমিকার বাসায় আসে।
তখন শাকিল তাকে দেখে পরিবারের কাছে প্রেমের কথা স্বীকার করলেও ভৈরবে আসার কথা অস্বীকার করে। তারপর তানিয়ার খালাত ভাইকে ডেকে আনা হয়। দুই পরিবার ঘটনাটি সারাদিন মীমাংসা করতে না পেরে সন্ধ্যায় পুলিশকে খবর দেয় শাকিলের পরিবার। তারপরই পুলিশ তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে নিয়ে যায়।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মো. শাহিন জানান, প্রেমিক-প্রেমিকা দুজনই অপ্রাপ্ত বয়স্ক। তাই বাধ্য হয়েই বিষয়টি সুরাহা করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে বিষয়টির সমাধান হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ