মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে ৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ঠাকুরগাঁও শহরের ৬ কিলোমিটার জুড়ে গত ৪ নভেম্বর সড়ক বাতির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছিল। আলোকিত শহর পেয়ে তখন সর্বস্তরের মানুষ সরকারকে বাহবা দিয়েছেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলাতির কারণে উদ্বোধনের ১২দিনের মধ্যে পাঁচ লক্ষাধিক টাকার সড়ক বাতি নষ্ট এবং শহরের একাংশ আবার অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
জানা যায়, সড়ক ও জনপথ বিভাগের আলিক মহাসড়কের ডিভাইডারে স্ট্রিট লাইট স্থাপনের মাধ্যমে আলোকিতকরণ প্রকল্পের আওতায় ঠাকুরগাঁও শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড হতে রেলস্টেশন রোড পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়কের ডিভাইডারে ৩ শতাধিক সড়ক বাতি স্থাপন করা হয়।
এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয় হয়। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন গত ৪ নভেম্বর সড়ক ও জনপদ বিভাগের কার্যালয় চত্বরে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ সড়ক বাতির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
ঠাকুরগাঁও সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কায়সার আহমেদ জানান, ঠিকাদেরর কাছ থেকে এখনও সড়ক বাতিসহ কাজ বুঝে নেওয়া হয়নি। এসময় কোন কারণে সদ্যস্থাপিত সড়ক বাতি নষ্ট হলে তার দায়ভার সংশ্লিষ্ট ঠিকাদরকেই বহন করতে হবে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও নেসকো বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম সারোয়ার বলেন, সড়ক বাতি স্থাপনকালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী বিদ্যুৎ সংযোগের লাইন টেনে নিতেন তাহলে এত ক্ষতি হতো না।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সংশ্লিষ্ট ঠিকাদেরর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন