রাঙামাটিতে ফের বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। দিনে সঙ্গে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই মানুষকে সচেতন করতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন। কারণ শীত আশার আগেই করোনা যেমন নতুন রূপ ধারণ করেছে পাহাড়ি এ অঞ্চলে। প্রতিদিন আক্রান্ত সংখ্যা ৭ থেকে ১০জন। এ নিয়ে গত কয়েক দিনে করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭০ জনের। এতে চরম উদ্বেগ-উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে পাহাড়ি বাসিন্দাদের মধ্যে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি ১০টি উপজেলা মিলে একটি মাত্র জেনারেল হাসপাতাল। যার পাশে করোনারী হাসপাতালের (হৃদরোগ হাসপাতাল) অংশে করোনা রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়েছে। চিকিৎসকও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৫জন। কিন্তু বাড়তি জনবল, সরঞ্জামের অভাবে মিলছে না পুরোপুরি চিকিৎসা। শুধুমাত্র প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে করোনা রোগীদের। অক্সিজেন সংকট ও আইসিইউ’র অভাবে বাধ্য হয়ে রোগীদের পাঠানো হচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. সৈওকত আকবর জানান, রাঙামাটিতে সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। অসচেতনতার কারণে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এ জেলায়। সামনে শীতের প্রকোপ বাড়তে পারে। তাতে আশঙ্কা করা হচ্ছে করোনা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। তবে যেসব করোনা রোগী চিকিৎসা নিতে এসেছে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রোগীর অবস্থা জটিল হলে চট্টগ্রামে পাঠানো হচ্ছে। কারণ রাঙামাটিতে রোগীদের সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা নেই।
অন্যদিকে, করোনার সংক্রমণ থেকে রাঙামাটিবাসীকে রক্ষা করতে মাস্কপরা অভিযানে নেমেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। জেলা প্রশাসকের নিদের্শে রাঙামাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ জনবহল এলাকাগুলোতে মানুষকে বাধ্য করা হচ্ছে মাস্ক পরতে।
এ ব্যাপারে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ জানান, দেশে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই রাঙামাটিবাসীকে সচেতন করতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের বিশেষ দল কাজ করছে। মানুষকে মাস্ক পরতে বাধ্য করা হচ্ছে। দূরুত্ব বজায় রেখে মানুষকে চলাফেরা করার জন্য বারবার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন বাসে, সড়কে, বাজারে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম