দিনাজপুরে আমন ধানের ক্ষেতে মাজরা ও কারেন্ট পোকার আক্রমণে ফলন কিছুটা কম হলেও ভালো দাম পাওয়ায় খুশি কৃষকরা। এতে করে উৎপাদন খরচ উঠিয়ে কিছুটা লাভের আশা করছেন কৃষকরা।
সরকার নির্ধারিত ধানের দামের চেয়ে খোলা বাজারে মূল্য বেশি হওয়ায় সরকারকে ধান দিতে আগ্রহী নন হাকিমপুর এলাকার কৃষক।
কৃষকরা বলছেন, ধানে পোকার আক্রমণে ধানের উৎপাদন খানিকটা ব্যাহত হলেও গতবারের তুলনায় ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে প্রতিমণ ধান ১ হাজার ৫০ থেকে ১১০০ টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ধানে পোকার আক্রমণ না থাকলে কৃষকরা আরও লাভবান হতো।
হাকিমপুরের ছাতনি চারমাথা গ্রামের কৃষক জোসেফ হাসদা বলেন, চলতি আমন মৌসুমে স্বর্ণা জাতের ধান রোপন করেছিলাম। গাছে ধান বেরোনোর সময় মাজরা ও কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। এর ওপর ইঁদুরের আক্রমন। কয়েকবার কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ ছিটিয়েছি। কোনও ফল হয়নি। এতে ক্ষেতের মাঝে মাঝে ধান গাছ মরে গিয়ে ফাঁকা হয়ে যায়। উৎপাদন খানিকটা কমে বিঘা প্রতি ১২-১৩ মণে দাঁড়িয়েছে। সংশয়ে ছিলাম। কিন্তু ভালো দাম পাওয়ায় সে শঙ্কা অনেকটা কেটে গেছে।
আড়তদাড় শাহ মোহাম্মদ বলেন, গৃহস্থের বাড়ি থেকে স্বর্ণা জাতের ধান ১১২০-১১৩০ টাকায় আর গুটি স্বর্ণা জাতের ধান ১ হাজার ১০ থেকে ২০ টাকা মণ দরে কিনেছি। বাহিরের ব্যবসায়ীদের বাড়তি চাহিদার কারণে বেশি মূল্যে কিনছি।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ড. মমতাজ সুলতানা বলেন, চলতি আমন মৌসুমে হাকিমপুরে ৮ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আবাদ হয় ৮ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে। ধান কাটা শুরু হয়েছে। প্রতি হেক্টরে হাইব্রিড জাতের ধানের চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩.৮৩ মেট্রিক টন থাকলেও আমরা পাচ্ছি ৩.৯৫ মেট্রিক টন। উফশি জাতের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২.৯২ মেট্রিক টন এর বিপরীতে আমরা পাচ্ছি ৩.১০ মেট্রিক টন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল