৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৭:৩৯

বগুড়ায় ধর্ষণ মামলায় ইউপি মেম্বার গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ায় ধর্ষণ মামলায় ইউপি মেম্বার গ্রেফতার

বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোপালনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণ করে আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার ২নং আসামি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) ফজলুল হক বাবুকে (৪৫) গ্রেফতার করছে পুলিশ।

শনিবার দুপুরে ধুনট থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বগুড়া সদর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ফজলুল হক বাবু গোপালনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য এবং একই ইউনিয়নের দেউরিয়া গ্রামের মৃত সামছুল হকের ছেলে।

এর আগে শুক্রবার ভোরে ঢাকার হেমায়েত পুর এলাকা থেকে একই মামলার ৪নং আসামি ধুনট উপজেলার গোপালগর ইউনিয়নের দেউড়িয়া গ্রামের মৃত ইব্রাহীম হোসেনের ছেলে আ. মান্নান (৪০) ও একই গ্রামের রিপন মিয়ার স্ত্রী সাথী খাতুনকে (৩৬) গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তবে টানা এক মাস আটকে রেখে আলোচিত এই ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মাসুদ রানা (৩৬) এখনও পলাতক রয়েছে। 

জানা গেছে, ধুনট উপজেলার দেউড়িয়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে মাসুদ রানা (৩৫) একই গ্রামের এক কৃষকের মেয়ে গোপালনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে গত ১৬ জুলাই রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে সিএনজিযোগে অপহরণ করে। এরপর ওই মেয়েটিকে এক মাসেরও বেশি সময় একটা ঘরে আটকে রেখে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে মাসুদ রানা। তার একাজে সহযোগিতা করেছেন গোপালনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফজলুল হক বাবুসহ কয়েক সহযোগীরা। এ ঘটনায় গত ১২ আগস্ট ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ধর্ষক মাসুদ রানা ও গোপালনগর ইউপি সদস্য ফজলুল হক বাবুসহ ৭ জনকে আসামি করে ধুনট থানায় মামলা দায়ের করেন। 

এদিকে মামলা দায়েরের পর গত ২৪ আগস্ট ওই স্কুলছাত্রীকে সিরাজগঞ্জের চান্দাইকোনা এলাকায় রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় ধর্ষক মাসুদ রানা ও তার সহযোগীরা। পরে পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধারের পর ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আহসানুল হক আসামিদের গ্রেফতার না করে উল্টো আসামিদেরকেই সহযোগিতা করেন এবং বাদীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালিও করেন। তবে এ ঘটনাটি জানাজানি হলে গত বুধবার বগুড়ার পুলিশ সুপারে নিদের্শে ধর্ষণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আহসানুল হককে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে আলোচিত এই ধর্ষণ মামলাটির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা। 

তিনি দায়িত্ব গ্রহণের দুই দিনের মধ্যে শুক্রবার এই মামলার দুই আসামিকে ঢাকা থেকে এবং অন্যতম ২নং আসামি ইউপি সদস্য ফজলুল হককে শনিবার বগুড়া সদর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলায় এ পর্যন্ত তিনজন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া মামলার প্রধান আসামিসহ অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। 

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর