ভাসানচরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রথম দলের এক দম্পতির ঘরে এসেছে নতুন অতিথি। মো. কাশেমের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন তৃতীয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন, যা ভাসানচরে জন্ম নেওয়া প্রথম রোহিঙ্গা শিশু।
আজ শুক্রবার সকালে নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে ছেলে সন্তান প্রসব করেন রাবেয়া।
এর আগে প্রসবব্যথা শুরু হলে তাকে নৌ-অ্যাম্বুলেন্সে ভাসানচর থেকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয় তাকে। রাবেয়ার সঙ্গে তার শাশুড়ি মোমেনা খাতুন ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের একজন সেবিকা ছিলেন।
মায়ের কোলে ভাসানচরে প্রথম জন্ম নেওয়া রোহিঙ্গা শিশু। ছবি সংগৃহীত
হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য জরুরি বিভাগের ডাক্তার বিমান চন্দ্র আচার্য জানান, রাবেয়া ও তার নবজাতক দুজনই সুস্থ রয়েছে।
আজ শুক্রবার ভাসানচর প্রকল্পের (আশ্রয়ণ প্রকল্প-৩) পরিচালক কমোডর এ এ মামুন চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটি আসলে চমৎকার অনুভূতি, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বিজয়ের মাসে আমরা কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করতে পেরেছি। নতুন শিশুর জন্মের বিষয়টি আরও আনন্দের। এখনও শিশুটির নাম রাখা হয়নি।’
মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৭ সালে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন কাশেম ও রাবেয়া। গত ৪ ডিসেম্বর তাদের নোয়াখালীর ভাসানচরে নেওয়া হয়। তাদের প্রথম সন্তানের জন্ম হয় মিয়ানমারে। দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হয় কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পে।
এখন ভাসানচরের ৭ নম্বর ক্লাস্টারের ৮ নম্বর হাউজে থাকছেন আবুল কাশেম ও রাবেয়া।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ