শিরোনাম
- এলডিসি থেকে উত্তরণ ৩ বছর পিছিয়ে দিতে চায় সরকার : বাণিজ্য সচিব
- দুর্যোগ মোকাবেলার চেয়ে প্রশমন বেশি গুরুত্বপূর্ণ : ত্রাণ উপদেষ্টা
- ৩ দফা দাবিতে অনশনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
- নির্বাচন কর্মকর্তা সম্মেলন ২৭ সেপ্টেম্বর
- ভাঙ্গায় সড়ক ও রেলপথে যান চলাচল স্বাভাবিক
- ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন, ঢাকায় একদিনেই ২১৫২ মামলা
- পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর
- ঢাকা অ্যাডভার্টাইজিং স্কুলের আত্মপ্রকাশ
- মালয়েশিয়া দিবস: জাতীয় ঐক্যের বার্তা ও বহুসংস্কৃতির উদযাপন
- বাগেরহাটে চার আসন বহালের দাবিতে নির্বাচন অফিসে অবস্থান কর্মসূচি
- বুয়েটের সঙ্গে জিপিএইচ ইস্পাতের সমঝোতা স্মারক সই
- মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের ভোটদান নিয়ে মতবিনিময় সভা
- স্যার জন উইলসন স্কুলের ৩০ বছর পূর্তি উদযাপন
- নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে সবাই সমান অধিকার পাবে : প্রধান উপদেষ্টা
- ভারতে নারীদের ক্যান্সারের প্রকোপ বেশি, মৃত্যুহার বেশি পুরুষের
- ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন প্রধান উপদেষ্টার
- চাকসু নির্বাচন ঘিরে উৎসবমুখর চবি, দ্বিতীয় দিনে মনোনয়ন নিলেন ১৪১ প্রার্থী
- দশ বছর ধরে ছাদে পাখিদের আপ্যায়ন
- ‘ওজোনস্তর রক্ষায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য’
- মানিকগঞ্জে এবার ৫৫৩ মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন
৮২টি পদের মধ্যে ৬০টি শূণ্য
রায়পুরের মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রে জনবল সংকট
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
অনলাইন ভার্সন
আশির দশকে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম মৎস্য হ্যাচারী ছিল লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার ৫৪ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত মৎসপ্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। কয়েক বছর ধরে জনবল, বিদ্যুৎ ও পানি সংকটে পিছিয়ে পড়েছে এ প্রতিষ্ঠানটি। ফলে ভেস্তে যেতে পারে বিপুল সম্ভাবনাময় এ প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে সরকারের উদ্দেশ্য। তবে হতাশার মাঝেও এ প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের জানুয়ারী থেকে জুলাই পর্যন্ত রেণুপোনা ও দেশী প্রজাতীর পোনা বিক্রি করে ৬১ লক্ষ ২৭ হাজার ৫৯৯ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে।
জানা গেছে, চাঁদপুর সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ প্রকল্পের ২ হাজার ৪২৮ হেক্টর বদ্ধ জলাশয়, ২ হাজার হেক্টর জমির বেরোপিট ও প্রধান খালগুলোতে মাছ চাষের লক্ষ্যে মৎস প্রজনন কেন্দ্র করার উদ্যোগ নেয় সরকার। রুই জাতীয় মাছের রেনু ও পোনা সরবরাহ করে মাছের উৎপাদন বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ১৯৭৯ সালে এটি স্থাপন করা হয়। ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যায়ে প্রতিষ্ঠিত রায়পুর মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি উৎপাদন শুরু করে ১৯৯২ সালে। ২১.৮৩ হেক্টর আয়তনের এ কেন্দ্রে মোট পুকুর আছে ৭৫টি। যাকে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষন কেন্দ্র বলা হয়। কিন্তু বর্তমানে মাত্র ৫৬টি পুকুরে রেণুপোনা উৎপাদন করার কার্যক্রম চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।
মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষন কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, এখানে প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাসহ ৮২ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর অনুমোদন রয়েছে। কর্মরত আছেন মাত্র ২২ জন। বাকি ৬০টি পদে দীর্ঘদিন ধরে লোকবল না থাকায় কার্যক্রম চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। শূন্য পদগুলো হলো- বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ৬টি, মৎস সম্প্রসারণ সুপারভাইজার ৪টি, ক্ষেত্রযোগ গবেষণাগার ৬টি, দক্ষ ফিশারম্যান ৬টি ও অফিস সহায়ক, হ্যাচারী গার্ড, নৈশপ্রহরী ৪টি করে, প্রশাসনির কর্মকর্তা, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ১টি করে। এছাড়াও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর পদ শূণ্য রয়েছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন কার্যক্রম। রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ ওয়াহিদুর রহমান মজুমদার বলেন, লোকবল সংকটের কারণে উৎপাদন ব্যবস্থা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। শূণ্য পদে লোক নিয়োগের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট বারবার আবেদন জানানো হয়েছে। লাভজনক এ প্রতিষ্ঠানটি লোকবল সংকটের কারণে এখন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। লাভজনক এ প্রতিষ্ঠানটিতে লোকবল সংকট দূর করা গেলে বছরে প্রায় দুই কোটি টাকা রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ
এই বিভাগের আরও খবর