শিরোনাম
- ২৫০ কোটি ডলারের বিদ্যুৎকেন্দ্র অচল: দরপত্রের ত্রুটি ও একক দরদাতার ফাঁদে বন্দি প্রকল্প
- পাকিস্তানে বাস খাদে পড়ে নিহত ৯, আহত ৩০
- টাইব্রেকারে স্পেনকে হারিয়ে ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড
- গিল, সুন্দর ও জাদেজার সেঞ্চুরিতে ভারতের রোমাঞ্চকর ড্র
- দুই তরুণের গোলে জয় দিয়েই প্রাক মৌসুম প্রস্তুতি শুরু বার্সার
- ঢাকাসহ ৯ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা
- ৫ কোটি রুপির মামলায় জড়ালেন ভারতীয় অলরাউন্ডার
- পুলিশের ঊর্ধ্বতন ২০ কর্মকর্তাকে বদলি
- ছাত্ররা দুর্নীতির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে : মেজর হাফিজ
- মেয়েকে চার বছর ধরে বন্দী, ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখতেন বাবা
- নির্বাচন যত বিলম্ব হবে, আধিপত্যবাদী শক্তি ততই ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করবে : প্রিন্স
- ঘরের মাঠে অনুকূল উইকেটের বদলে চ্যালেঞ্জিং পিচে খেলা জরুরি : নান্নু
- ব্র্যাডম্যান-গাভাস্কারের পাশে গিল
- চিত্রনায়ক জসিমের ছেলে সংগীত শিল্পী রাতুল আর নেই
- গোপালগঞ্জে চুরির অভিযোগে কারারক্ষী গ্রেফতার
- যৌথ বাহিনীর অভিযানে মাদকসহ মহিলা লীগ নেত্রী গ্রেফতার
- এক ব্যক্তির সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রিত্বের পক্ষে বিএনপি : সালাহউদ্দিন
- নৈশপ্রহরীর মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ও হাত-পা বেঁধে ডাকাতি, গ্রেফতার ২
- স্বাস্থ্যখাতের টেকসই সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকার বদ্ধপরিকর : প্রধান উপদেষ্টা
- মেহেরপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৪
৮২টি পদের মধ্যে ৬০টি শূণ্য
রায়পুরের মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রে জনবল সংকট
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
অনলাইন ভার্সন
আশির দশকে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম মৎস্য হ্যাচারী ছিল লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার ৫৪ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত মৎসপ্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। কয়েক বছর ধরে জনবল, বিদ্যুৎ ও পানি সংকটে পিছিয়ে পড়েছে এ প্রতিষ্ঠানটি। ফলে ভেস্তে যেতে পারে বিপুল সম্ভাবনাময় এ প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে সরকারের উদ্দেশ্য। তবে হতাশার মাঝেও এ প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের জানুয়ারী থেকে জুলাই পর্যন্ত রেণুপোনা ও দেশী প্রজাতীর পোনা বিক্রি করে ৬১ লক্ষ ২৭ হাজার ৫৯৯ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে।
জানা গেছে, চাঁদপুর সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ প্রকল্পের ২ হাজার ৪২৮ হেক্টর বদ্ধ জলাশয়, ২ হাজার হেক্টর জমির বেরোপিট ও প্রধান খালগুলোতে মাছ চাষের লক্ষ্যে মৎস প্রজনন কেন্দ্র করার উদ্যোগ নেয় সরকার। রুই জাতীয় মাছের রেনু ও পোনা সরবরাহ করে মাছের উৎপাদন বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ১৯৭৯ সালে এটি স্থাপন করা হয়। ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যায়ে প্রতিষ্ঠিত রায়পুর মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি উৎপাদন শুরু করে ১৯৯২ সালে। ২১.৮৩ হেক্টর আয়তনের এ কেন্দ্রে মোট পুকুর আছে ৭৫টি। যাকে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষন কেন্দ্র বলা হয়। কিন্তু বর্তমানে মাত্র ৫৬টি পুকুরে রেণুপোনা উৎপাদন করার কার্যক্রম চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।
মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষন কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, এখানে প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাসহ ৮২ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর অনুমোদন রয়েছে। কর্মরত আছেন মাত্র ২২ জন। বাকি ৬০টি পদে দীর্ঘদিন ধরে লোকবল না থাকায় কার্যক্রম চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। শূন্য পদগুলো হলো- বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ৬টি, মৎস সম্প্রসারণ সুপারভাইজার ৪টি, ক্ষেত্রযোগ গবেষণাগার ৬টি, দক্ষ ফিশারম্যান ৬টি ও অফিস সহায়ক, হ্যাচারী গার্ড, নৈশপ্রহরী ৪টি করে, প্রশাসনির কর্মকর্তা, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ১টি করে। এছাড়াও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর পদ শূণ্য রয়েছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন কার্যক্রম। রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ ওয়াহিদুর রহমান মজুমদার বলেন, লোকবল সংকটের কারণে উৎপাদন ব্যবস্থা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। শূণ্য পদে লোক নিয়োগের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট বারবার আবেদন জানানো হয়েছে। লাভজনক এ প্রতিষ্ঠানটি লোকবল সংকটের কারণে এখন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। লাভজনক এ প্রতিষ্ঠানটিতে লোকবল সংকট দূর করা গেলে বছরে প্রায় দুই কোটি টাকা রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর