শিরোনাম
- বিয়ের কেনাকাটা করতে গিয়ে প্রাণ গেল বরের
- ফিফার অনুমোদন, বাংলাদেশের হয়ে খেলতে বাধা নেই সামিতের
- কানাডা থেকে আলাদা হতে চায় আলবার্টা!
- নতুন করে যেন রোহিঙ্গা না আসে সেই চেষ্টা করছি : খলিলুর রহমান
- ৭ দিনের মহাসড়কে থ্রি-হুইলার বন্ধ না হলে রংপুরে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি
- উল্টো পথে চলাচলে ডিএমপির দেড় শতাধিক মামলা
- ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানে বিস্ফোরণ, ৭ সেনা নিহত
- অভিবাসন বিষয়ক এমওইউ স্বাক্ষর, ইতালির মন্ত্রীর সফরের গুরুত্বপূর্ণ অর্জন : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
- শুল্কযুদ্ধের পরিণতি, আমেরিকায় বাণিজ্য ঘাটতিতে নতুন রেকর্ড
- ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস ইয়েমেনের সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
- মহেশখালীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে যুবক নিহত
- দেশজুড়ে অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ১৬৭৬
- সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলামসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
- স্কুলছাত্র হাত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ, মানববন্ধন
- নেত্রকোনায় গ্রাম পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ শুরু
- যুদ্ধবিরতি শব্দটি অভিধান থেকে মুছে ফেলতে হবে: ইসরায়েল
- চসিকের ভেজাল বিরোধী অভিযানে বেকারিকে জরিমানা
- মনপুরায় ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব’ শীর্ষক আলোচনা সভা
- আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে ন্যায্য পারমাণবিক চুক্তি চায় রাশিয়া
- চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘টিচিং মেথডোলজি এন্ড অ্যাসেসমেন্ট’ শীর্ষক সভা
৮২টি পদের মধ্যে ৬০টি শূণ্য
রায়পুরের মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রে জনবল সংকট
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
অনলাইন ভার্সন
আশির দশকে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম মৎস্য হ্যাচারী ছিল লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার ৫৪ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত মৎসপ্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। কয়েক বছর ধরে জনবল, বিদ্যুৎ ও পানি সংকটে পিছিয়ে পড়েছে এ প্রতিষ্ঠানটি। ফলে ভেস্তে যেতে পারে বিপুল সম্ভাবনাময় এ প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে সরকারের উদ্দেশ্য। তবে হতাশার মাঝেও এ প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের জানুয়ারী থেকে জুলাই পর্যন্ত রেণুপোনা ও দেশী প্রজাতীর পোনা বিক্রি করে ৬১ লক্ষ ২৭ হাজার ৫৯৯ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে।
জানা গেছে, চাঁদপুর সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ প্রকল্পের ২ হাজার ৪২৮ হেক্টর বদ্ধ জলাশয়, ২ হাজার হেক্টর জমির বেরোপিট ও প্রধান খালগুলোতে মাছ চাষের লক্ষ্যে মৎস প্রজনন কেন্দ্র করার উদ্যোগ নেয় সরকার। রুই জাতীয় মাছের রেনু ও পোনা সরবরাহ করে মাছের উৎপাদন বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ১৯৭৯ সালে এটি স্থাপন করা হয়। ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যায়ে প্রতিষ্ঠিত রায়পুর মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি উৎপাদন শুরু করে ১৯৯২ সালে। ২১.৮৩ হেক্টর আয়তনের এ কেন্দ্রে মোট পুকুর আছে ৭৫টি। যাকে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষন কেন্দ্র বলা হয়। কিন্তু বর্তমানে মাত্র ৫৬টি পুকুরে রেণুপোনা উৎপাদন করার কার্যক্রম চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।
মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষন কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, এখানে প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাসহ ৮২ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর অনুমোদন রয়েছে। কর্মরত আছেন মাত্র ২২ জন। বাকি ৬০টি পদে দীর্ঘদিন ধরে লোকবল না থাকায় কার্যক্রম চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। শূন্য পদগুলো হলো- বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ৬টি, মৎস সম্প্রসারণ সুপারভাইজার ৪টি, ক্ষেত্রযোগ গবেষণাগার ৬টি, দক্ষ ফিশারম্যান ৬টি ও অফিস সহায়ক, হ্যাচারী গার্ড, নৈশপ্রহরী ৪টি করে, প্রশাসনির কর্মকর্তা, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ১টি করে। এছাড়াও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর পদ শূণ্য রয়েছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন কার্যক্রম। রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ ওয়াহিদুর রহমান মজুমদার বলেন, লোকবল সংকটের কারণে উৎপাদন ব্যবস্থা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। শূণ্য পদে লোক নিয়োগের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট বারবার আবেদন জানানো হয়েছে। লাভজনক এ প্রতিষ্ঠানটি লোকবল সংকটের কারণে এখন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। লাভজনক এ প্রতিষ্ঠানটিতে লোকবল সংকট দূর করা গেলে বছরে প্রায় দুই কোটি টাকা রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ
এই বিভাগের আরও খবর