বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ এনে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে মোঃ আব্দুল খালেক সরকার (৫০)নামে এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে একই ইউনিয়নের এক স্বামী পরিত্যক্তা এক নারী।
বুধবার দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান খালেক সরকারের বিচারের দাবিতে বীরগঞ্জ পৌর শহরের বিজয় চত্বর এলাকায় বীরগঞ্জবাসীর ব্যানারে একটি মানববন্ধন করা হয়েছে।
মোঃ আব্দুল খালেক সরকার বীরগঞ্জ উপজেলার নিজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং সৈদপুর কল্যাণী গ্রামের মৃত তছলিম উদ্দিনের ছেলে।
বীরগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আব্দুল মতিন প্রধান জানান, অভিযোগকারী নারী বিদেশে থাকা অবস্থায় মোঃ আব্দুল খালেক সরকারের সাথে মুঠোফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্পর্ক তৈরী হয়। পরে দেশে আসার পর শারীরিক সম্পর্ক তৈরী হয়। বর্তমানে সে বিয়ে করতে অস্বীকার করলে ওই নারী কৌশলে তাদের অন্তরঙ্গ কিছু চিত্র ভিডিও ধারণ করেন। এ বিষয়ে বুধবার তিনি নিজে বাদী হয়ে বীরগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। মামলা নম্বর-১৬।
মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই নাজমুল ইসলাম জানান, মামলাটির তদন্ত কাজ এবং আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিকে আইনের মুখোমুখী করা হবে।
এ ব্যাপারে বীরগঞ্জের নিজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল খালেক সরকার বিষয়টি অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পর পর দুইবার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে আসছি। তাই প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে একটি কু-চক্রী মহল আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র করে আসছে। এটি সেই ষড়যন্ত্রের অংশ।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন